
দক্ষিণাঞ্চল থেকে প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে হারাতে বসেছে বাঁশ ও বেত শিল্প। বাঁশ আর বেতের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় ভালো নেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা। তবুও বাপ-দাদার এই পেশাকে এখনও আঁকড়ে রেখেছে উপজেলার কিছু সংখ্যক পরিবার।
আমতলী উপজেলায় বাঁশ ও বেতের তৈরি মনমুগ্ধ বিভিন্ন জিনিসের জায়গা করে নিয়েছে স্বল্প দামের প্লাস্টিক ও লোহার তৈরি পণ্য।
অভাবের তাড়নায় এই শিল্পের কারিগর সুধীর চন্দ্র সোমাদ্ধার জানান, বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে আজ অনেকে অন্য পেশার দিকে ছুটছে। শত অভাব অনটনের মাঝেও উপজেলায় দেড় শতাধিক পরিবার আজও এই পেশাটি ধরে রেখেছে।
পুরুষদের পাশাপাশি সংসারের কাজ শেষ করে নারী কারিগররাই বাঁশ দিয়ে এই সব পণ্য বেশি তৈরি করে। বর্তমানে বেত সহজ লভ্য না হওয়ায় বাঁশ দিয়েই বেশি এই সব চিরচেনা পণ্য তৈরি করছেন এই কারিগররা।
আরো পড়ুন>>> কপির জোড়া ৫ টাকা, তবুও ক্রেতা নেই
বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি দোলনা, র্যাক, পাখা, ঝাড়ু, টোপা, ডালী সাজি, ওরা, কুলা, মোড়া, দাড়িপাল্লা ঝাঁপি, ফুলদানি, ফুলের ডালি, টেবিল, চেয়ার, সোফা সেট, খাট, মাছ ধরার পোলোসহ বিভিন্ন প্রকার জিনিসের ব্যবহার ছিলো।
এক সময় যে বাঁশ ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যেত সেই বাঁশ বর্তমান বাজারে কিনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ৩ি০০ টাকায়। কিন্তু তুলনামূলকভাবে বাড়েনি এসব বাঁশজাত পণ্যের দাম। জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ ঘর বাড়ি নির্মাণে যে পরিমাণ বাঁশের প্রয়োজন সে পরিমাণ বাঁশ উৎপাদন হচ্ছে না। এরফলে বর্তমানে এ পেশার সাথে সম্পৃক্ত পরিবারগুলো আগ্রহ হারাচ্ছে।
উপজেলার গোছখালী গ্রামের সৌরভ বলেন , হাতে গোনা আমরা কয়েকটি পরিবার আজও এ কাজে নিয়োজিত আছি। খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি পণ্য থেকে ১০-২০টাকা করে লাভ থাকে। তবে বর্তমানে আগের মত আর বেশি লাভ হয় না। তারা নিজেরাই বিভিন্ন হাটে গিয়ে ও গ্রামে গ্রামে ফেরি করে এই সব পণ্য বিক্রয় করে থাকেন।
স্বাআলো/আরবিএ
.
Admin
