
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার ও ভেকু মেশিন বসিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করার মহোৎসব চলছে। শীত শুরু থেকে প্রতিদিন এইভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এতে ফসলি জমি, বসতবাড়ী ও পাকা রাস্তা হুমকির মুখে পড়েছে। টানা বৃষ্টিতে ও নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদীর পাড়ের জমি ও ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার আশংকা রয়েছে। অন্যদিকে বালু বোঝাই ট্রাক দিন রাত রাস্তায় চলাচল করায় রাস্তা নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলার নিশ্চিন্তপুর, মির্জাপুর ও শ্রীরামপুর গ্রামের কালি নদী থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু ও মাটি কাটা হচ্ছে। বালু ও মাটি বোঝাই শত শত ট্রাক চলাচলের কারণে ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
মির্জাপুর গ্রামের মানোয়ার দীর্ঘদিন ধরে ২টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। এছাড়া নিশ্চিন্তপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন ভেকু মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। ইতোপূর্বে বালু উত্তোলনের অপরাধে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করে।
আরো পড়ুন>>> ঝিনাইদহে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড ভাংচুর
আলাউদ্দিন আলাল বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সবাই যদি বন্ধ করে তাহলে আমিও করবো।
মানোয়ার বলেন, আমি ডিসি, ইউএনও, ভূমি অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলন করছি। আপনারা আসছেন ৫০০ টাকা নিয়ে চলে যান, ছবি তুলছেন কেন?
শৈলকুপা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা জনান, নদী থেকে বালু ও মাটি কেটে পরিবেশন বিপন্ন হওয়ার মতো কাজ কেউ করলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। বালু উত্তোলন কারীদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্বাআলো/আরবিএ
.
Admin
