
গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ী, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ডেপুটি কালেক্টর নেজারত (এনডিসি) এসএম ফয়েজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রবিবার বিকেল ৩টার দিকে গাইবান্ধা সদরসহ সাত উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘণ্টাব্যাপী কালবৈশাখী ঝড়।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন জানান, নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পড়া গাছ অপসারণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কাজ করছেন।
এদিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় গাছচাপায় মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কালবৈশাখী ঝড়ে এ গাছচাপার ঘটনা ঘটে।
নিহত হালিমা (২৬) ও শিশু আফছানা (১৬ মাস) ফরিদপুরের মধুখালির বাজিতপুর গ্রামে বসবাস করতেন। হালিমা গ্রামের জাহিদের স্ত্রী।
জানা গেছে, হালিমা আফছানাকে নিয়ে ভ্যানে আলফাডাঙ্গার বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম থেকে তার বাবার বাড়ি একই ইউনিয়নের পাকুড়িয়ায় যাচ্ছিলেন।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এসময় টাবনী ঘোষবাড়ির সামনে পৌঁছালে রাস্তার পাশের সজনে গাছের একটি বড় ডাল তাদের ওপর ভেঙে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই হালিমার মৃত্যু হয়।
আহত অবস্থায় আফছানাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাফেজা খানম মিলি বলেন, শিশুটিকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
স্বাআলো/এসএ
.
