
আম্ফানের এখনো ক্ষত শুকায়নি উপকূলের মানুষের। তাই প্রতি মুহূর্তেই আম্ফানের সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেয়া ঘূর্ণিঝড় যশের। কিন্তু সত্যিই কি যশ আম্ফানের মতোই ধ্বংসাত্মক? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ভারতের আলিপুর আবহাওয়া দফতরের উপ-মহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ওদের মধ্যে কোনো তুলনাই চলে না। আম্ফান ছিল সুপার সাইক্লোন। কিন্তু যশ অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়।
মোংলা থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’, বাড়লো সতর্ক সংকেত
পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেটিরিওলজি-র সাইক্লোন বিশেষজ্ঞ এবং নিউমেরিক্যাল ওয়েদার প্রেডিকশন সিস্টেমের অন্যতম মডেলার পার্থ মুখোপাধ্যায় বলছেন, সুপার সাইক্লোনে হাওয়ার গতি অনেক বেশি থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই তার ধ্বংসক্ষমতাও প্রবল। কাজেই আম্ফান সেই দিক থেকে যশের চেয়ে অনেক এগিয়ে।
আম্ফান বনাম যশ
আম্ফান সুপার সাইক্লোন, ইয়াস অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়। আম্ফানে ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি হয়েছিল ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার। যশের ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে। আম্ফান তৈরি হয়েছিল কলম্বো থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পূর্বে, যশ তৈরি হয়েছে মধ্য-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। ল্যান্ডফলের আগে আম্ফান প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার সমুদ্রের ওপর দিয়ে এগিয়েছিল। ল্যান্ডফলের আগে যশ সমুদ্রের ওপর দিয়ে ৬৫০-৭০০ কিলোমিটার এগোবে।
আম্ফানের গতিপথ ছিল উৎস থেকে উত্তর-উত্তরপূর্বে, যশের গতিপথ উৎস থেকে উত্তর-উত্তরপশ্চিম। আম্ফান ভারতের ভূখণ্ড পার করে বাংলাদেশের দিকে এগিয়েছিল, যশ ল্যান্ডফলের পর ঝাড়খণ্ড পেরিয়ে মধ্যভারতের দিতে এগোবে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: এই সময়
স্বাআলো/এসএ
.
