এফডিসিতে পশু কোরবানি নিষিদ্ধ

বিনোদন ডেস্ক: অসচ্ছল শিল্পীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেয়ার জন্য গত কয়েকটি বছর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) নিয়ম করেই হয়েছে পশু কোরবানি। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিএফডিসিতে এবার পশু কোরবানি দেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সরকারি আওতাধীন এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে এমন নোটিশ ঝুলতে দেখা গেছে। সেখানে লেখা- ‘এফডিসির অভ্যন্তরে কোরবানির পশু প্রবেশ এবং কোরবানির পশু জবাই কঠোরভাবে নিষেধ করা হলো।’

প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক (সিকিউরিটি ইনচার্জ) আমিনুল করিম খান গণমাধ্যমকে জানান, করোনার উচ্চ সংক্রমণের কারণে চলতি বছর এফডিসিতে পশু কোরবানি নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, ‘এ বছর এফডিসির অভ্যন্তরে কোরবানির পশু প্রবেশ এবং কোরবানির পশু জবাই কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিল্পীদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন শুটিং ফ্লোরের দেয়াল, প্রশাসনিক ভবন ও ক্যান্টিন চত্বরেও এ সংক্রান্ত নোটিশ টানানো হয়েছে।’

তার কথায়, ‘এফডিসিতে কোরবানি দিলে একাধিক স্থানে নোংরা আবর্জনা হয়, দুর্গন্ধ ছড়ায়। এ জন্য কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে এফডিসির অভ্যন্তরে কোরবানি দেয়া না হয়। গত বছর যারা এফডিসিতে কোরবানি দিয়েছিলেন, তখনই তাদের বিষয়টি বলা হয়েছিলো। জানানো হয়েছিলো, এ বছর থেকে এফডিসিতে পশু কোরবানি না দেয়ার জন্য। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর পশু কোরবানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

এবার এফডিসিতে ছয়টি গরু কোরবানি দেয়ার কথা পরীমণির। আর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে কোরবানি দেয়া হবে চারটি গরু। এছাড়াও ডিপজলসহ অনেকেই সহশিল্পীদের জন্য পশু কোরবানি দেবেন।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘এটা তো আমাদের কোনো সম্পত্তি নয়, সরকারি কেবিআইভুক্ত এরিয়া। সরকার যদি স্বাস্থ্যবিধির কারণে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা সহযোগিতা করবো। আর গতবার তো মাংসের জন্য বাইরের লোকজন এসে ধাক্কাধাক্কি করে গেট ভেঙে ফেলার মতো অবস্থা করেছিলো। তাই প্রশাসন যদি মনে করে এখানে কোরবানি দেয়া সঠিক নয়, আমরা তা মেনে নেবো।’

এফডিসিতে অসচ্ছল শিল্পীদের কথা বিবেচনা করে নায়করাজ রাজ্জাক, মান্নার পক্ষ থেকে গরু কোরবানি দেয়ার রীতি বেশ পুরনো। তবে নিজ উদ্যোগে ২০১৬ সাল থেকে নিয়মিত একাধিক গরু কোরবানি দিয়ে আসছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। পরে এতে যুক্ত হয় শিল্পী সমিতিও।

স্বাআলো/এস

.