
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর বোয়ালেরডাড়া হতে বেরুবাড়ী স্লুইসগেট পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার খাল খননের উভয় পাড়ের উপর ৩টি গ্রুপের মাধ্যমে বনজ, ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপন করায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি এলাকার মানুষ পাচ্ছে এর সুফল।
সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ইআইআরপি রংপুর সার্কেলের আওতায় ও নাগেশ্বরী অফিসের তত্ত্বাবধানে ৩টি গ্রুপের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক চলতি বছরে নাগেশ্বরী পৌরসভার বোয়ালেরডাড়া হতে বেরুবাড়ী ইউনিয়নের বেরুবাড়ী স্লুইসগেট পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার খাল খননের উভয় পাড়ের উপর ২২ হাজার ৫০০ বনজ, ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপন করায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি পাচ্ছে এলাকার মানুষ এর সুফল। এই রোপিত বৃক্ষ হতে স্থানীয়রা প্রায় ৬৫% লভ্যাংশ প্রাপ্ত হবেন। যার কারনে ঠিকাদারের পাশাপাশি স্থানীয়রা রোপিত গাছের দেখভাল করে থাকেন।
ফলে খালের দুইপাড় দৃষ্টি নন্দন হয়ে উঠছে। গাছগুলি বড় হলে ভ্রমন পিপাসুদের আকর্ষনীয় স্থান হয়ে উঠবে। খননের ফলে দুইপাড়ের ফসলের জমি পাচ্ছে সেচ সুবিধা ও অতি বৃষ্টি-বন্যায় পানি নিষ্কাশন সঞ্চিত পানিতে হাঁস ও মাছ চাষসহ গৃহস্থলী কাজে ব্যবহার করে অনেকে সাবলম্বি পাচ্ছে। কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিসহ এলাকার মানুষ পেয়েছে খাল খননের সুবিধা।
স্থানীয় নুরুল ইসলাম, হালিম, সোভান মন্ডল, হাবিবুর, আসরাফুল, গোলজার, মাইদুলসহ আরো অনেকে জানান, বিএমডিএ হতে খাল পুনঃখনন করা হয়েছে এবং বৃক্ষরোপন করা হয়েছে। খাল খননের কারনে জলাবদ্ধতা দুর হয়েছে এবং গেলো আমন মৌসুমে ফসল উৎপাদন ভালো হয়েছে। আর বৃক্ষরোপনে সকল এলাকা বাসিকে সমিতি ভুক্ত করা হয়েছে ফলে বৃক্ষ রোপন থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশে সরাসরি এলাকাবাসী অংশিদার হয়ে উপকৃত হবে। তাছাড়া সার্বিক ভাবে এলাকার পরিবেশ উন্নয়ন হয়েছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর আহম্মেদ মাছুম বলেন, বিএমডিএ প্রকল্প গুলোর কাজ অনেক ভালো এতে করে বেরুবাড়ী ইউনিয়নের খননকৃত খালের দুইপাড়ের মানুষেরা বিভিন্ন সুবিধা পাবে।
এ ব্যাপারে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ইআইআরপি প্রকল্প পরিচালক হাবিবুর রহমান খান বলেন, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। খনন শেষ হয়েছে ফলে খালের দুপাড়ে বৃক্ষ রোপন করায় স্থায়ী জনসাধরন এর সুফল ভোগ করবে।
স্বাআলো/এসএস
.
জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম
