
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে ১৮ বছর আগে স্বামীকে গাছের সাথে বেঁধে স্ত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয়। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকেলে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩ এর বিচারক এম আলী আহাম্মেদ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে দুই আসামিকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন এবং অপহরণের অভিযোগে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার একবারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের শওকত শেখের ছেলে মিলন শেখ তার স্ত্রীকে নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে আসামি একরামুল হক ও আবুল কালাম আজাদ তাদের পথরোধ করে। এরপর অস্ত্রের মুখে স্বামী মিলন শেখকে একটি গাছের সাথে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে অপহরণ করে মাদারগঞ্জ কলেজের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। তাদের আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে স্বামী ও স্ত্রীকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই ইকবাল বাহার দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে মামলা চলার পর বৃহস্পতিবার বিচারক দুই আসামি একরামুল হক ও আবুল কালাম আজাদকে ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং অপহরণের অভিযোগে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।
বাদি পক্ষের আইনজীবী এপিপি মাকজিয়া হাসান দীবা বলেন, দেরিতে হলেও ন্যায় বিচার পেয়েছে বিচারপ্রার্থীরা। অন্যদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম জানান, তারা এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
স্বাআলো/এসএ
.

হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর
