ধর্ষণ চেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে পুলিশের মারধর, এএসআই ক্লোজ

মানিকগঞ্জের শিবালয় থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করতে গিয়ে এক সহকারী উপ পরিদর্শকের (এএসআই) হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগী শিশু কন্যার বাবা। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ক্লোজ করা হয়েছে অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যকে।

রবিবার (২১ আগস্ট) সকালে শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ক্লোজ হওয়া পুলিশ সদস্য আরিফ হোসেন (এএসআই) শিবালয় থানায় কর্মরত ছিলেন।

জানা যায়, গতকাল (২০ আগস্ট) মেয়েকে (৫) ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে এমন অভিযোগ দিতে শিবালয় থানায় যান ওই শিশু কন্যার বাবা। থানায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আরিফ হোসেন ওই শিশু কন্যার বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও তাকে মারধর করে থানা থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনার পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার জেরে কয়েক ঘণ্টা পর শিবালয় থানার এএসআই আরিফ হোসেনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই শিশুর বাবা বলেন, গত মাসের ২০ জুলাই উপজেলার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান খানের চাচাতো ভাই রজ্জব খান আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তারা প্রভাবশালী হওয়াতে স্থানীয় মাতব্বররা কোনো সুরাহা দিতে পারেনি এবং আমি বাধ্য হয়েই গতকাল শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশের এএসআই আরিফ হোসেন আমার শার্টের কলার ধরে একটি কক্ষে নিয়ে যান এবং কক্ষে নেয়ার পরপর অভিযুক্তের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মান্নানকে ফোনে রেখেই এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি লাথি মারাসহ লাঠি দিয়ে মারধর করেন। মারতে মারতে আমাকে মেঝেতে ফেলে দেয়। পরে আমাকে বলে এখন এক দৌড় দিয়ে থানার বাইরে বের হয়ে যাবি।

এ বিষয়ে শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবনী জানান, ঘটনাটি শোনার পর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

স্বাআলো/এসএস