মাংস নিয়ে দ্বন্দ্ব, ভাবির মুখ ঝলসে দিলেন দেবর

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে সুমি আক্তার (২২) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গরম তরকারির পাতিলে চেপে ধরে মুখ পুড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, ওই গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়ির সহযোগিতায় দেবর জুয়েল শেখ এ ঘটনা ঘটান।

রবিবার রাতে উপজেলার জিয়নপুর ইউনিয়নের নারান্দিয়া গ্রামের খা-পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ আশঙ্খাজনক অবস্থায় দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সুমি রুবেলের স্ত্রী। সুমি আক্তার জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজ থেকে মাংস বের করাকে কেন্দ্র করে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও দেবর সাথে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এ সময় শাশুড়ি রোকিয়া বেগম, শশুর শুকুর আলী এবং দেবর জুয়েল আমাকে হত্যার উদ্দেশে চুলায় গরম তরকারির পাতিলে মুখ চেপে ধরে। একপর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তারপরের ঘটনা আমার জানা নেই।

সুমি আক্তারের বাবা আকুমুদ্দিন জানান খবর পেয়ে রাতেই আমার মেয়েকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছি।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফেরদৌস মাহমুদ খান জানান, সুমির মুখের সম্পূর্ণ অংশ পুড়ে গেছে। আমরা দুএকদিন পর্যবেক্ষণ রেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকারিয়া হোসেন জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বজনরা থানায় এসেছে। লিখিত অভিযোগ দিলে ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদেক্ষপ নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে অসুস্থ সুমিকে হাসপাতালে দেখতে যাই। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে ভুক্তভোগী ওই নারীকে। এ ছাড়া উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে।

স্বাআলো/এসএ

.

Author
ঢাকা অফিস