৫০ বস্তা গরীবের ত্রাণ বিক্রি করলেন পিআইও

বন্যাদুর্গত মানুষদের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্রী বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তরিকুল ইসলাম।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তা অমান্য করে বাজারে বিক্রি করেছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। এতে সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বন্যাদুর্গতরা।

বিষয়টি জানতে চাইলে পিআইও বলেন, যেসব ত্রাণ বিক্রি করা হয়েছে সেগুলো আমাদের উপজেলার নয়, বালাগঞ্জ উপজেলার। আমরা বিক্রি করে তাদের টাকা দিয়েছি। এর মধ্যে ৩৫০ কেজি চিড়া ও ৫০০ কেজি মুড়ি বিক্রি করেছি।

রবিবার (০৯ অক্টোবর) শ্রীমঙ্গল সেন্টাল রোডের কয়েকটি দোকানে গিয়ে সরকারি ত্রাণসামগ্রী (চিড়া ও মুড়ি) পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কথা হলে এক দোকান মালিক জানিয়েছেন, গরীবের এসব ত্রাণ কিনতে চাননি তিনি। এক প্রকার জোর করে রেখে গেছেন উপজেলা খাদ্যগুদামের লোকজন। বিক্রি হলে টাকা নেবেন বলেছেন তারা।

ওই দোকান মালিক আরো বলেন, আমার দোকানে ৯ বস্তা মুড়ি রেখে গেছেন উপজেলা খাদ্যগুদামের লোকেরা। তবে চিড়া অন্য দোকানে বিক্রি করেছেন তারা।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সরকারি নির্দেশে শুকনো খাবার চিড়া ও মুড়িসহ বিভিন্ন ত্রাণ কেনা হয়েছিলো। এর মধ্যে অধিকাংশ ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি। উপজেলা খাদ্যগুদামে পড়ে ছিলো। এগুলোর মধ্যে বালাগঞ্জ উপজেলায় বরাদ্দকৃত ত্রাণও রয়েছে।

এ সব বিক্রির সরকারি কোনো নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে পিআইও বলেন, এসব ইউএনও স্যার জানেন। বিক্রিত ত্রাণ বন্যার সময় পাবনা থেকে কেনা হয়েছিলো। এখনো গুদামে অনেক ত্রাণ পড়ে আছে, এগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, আমার জানামতে খাদ্যগুদামে দুই বস্তা মুড়ি ছিলো অন্য একটি উপজেলার। এর বাইরে যদি পিআইও আরো মালামাল বিক্রি করে থাকেন তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে ত্রাণ বিক্রির কোনো নিয়ম নেই।

মৌলভীবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাদু মিয়া বলেন, সরকারি কোনো ত্রাণসামগ্রী বিক্রি করার নিয়ম নেই। পিআইও কীভাবে বিক্রি করে দিলেন আমি বুঝতে পারছি না। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।

স্বাআলো/এস

.

Author
ঝলক দত্ত, মৌলভীবাজার