
বিশ্বজুড়ে যখন প্রচণ্ড অর্থনৈতিক মন্দা রিবাজ করছে, মানুষ খাদ্য সংকট অর্থনৈতিক সংকট প্রভৃতি সমস্যার কথা চিন্ত করে দিশেহারা হয়ে পড়ার মত তখন প্রধানমন্ত্রী জাতিকে সাহস জুগিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না। আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেছেন, অনেকে আমাদের উন্নয়ন চোখে দেখে না। চোখ থাকতে অন্ধ হলে দেখবে কী করে? আমরা কত যুবকের কর্মসংস্থান করেছি। যুবক থাকলে কাজ করার অনেক সুবিধা। উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুবদের সম্পৃক্ত করতে যুবলীগ গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। তরুণরাই পারে দেশকে গড়ে তুলতে। যুব সমাজকে রাজনীতির নামে বিপথে ধাবিত না করে তাদের যদি সৃজসশীল কাজে সম্পৃক্ত করা যায় তাহলে দেশের উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী। প্রধানমন্ত্রী এ সত্যটা উপলব্ধি করে যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না: প্রধানমন্ত্রী
কথায় আছে অলস মস্তিষ্ক অপরাধের বাসা। যুবকরা যদি কাজে ডুবে থাকে তাহলে তারা অপরাধে যুক্ত হবার সুযোগ পায় না। সেই যুব সমাজকে কাজ দিয়ে দেশের অগ্রযাত্রাকে তিনি ত্বরান্বিত করেছেন। আজ দিকে দিকে উন্নয়নের যে চিত্র তা প্রমাণ করে আমরা এগিয়ে চলেছি। দেশের সার্বিক চিত্রে আশান্বিত হয়েই কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ কিছুটা হতাশার মধ্যে আছে। কিন্তু সার্বিক অর্থে প্রকৃত অবস্তা যা তার চেয়ে মতলববাজরা প্রচার করছে বেশি। এই প্রচারের মাধ্যমে সংকটকে ভয়াবহভাবে তুলে ধরে বাজার অস্থিতিশীল করে তুলছে। জিনিসের দাম বাড়িয়ে মানুষকে হতাশার মধ্যে ফেলছে। বাজারে কোনো জিনিসেরই অভাব নেই। অথচ দাম বেড়েই যাচ্ছে। আমরা মনে করি দ্রব্যমূল্যটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সব সমস্যার সমাধান অতি সহজেই হয়ে যাবে। দুর্ভিক্ষের ভয়ে মানুষ যেখানে ভীত সন্ত্রস্ত ছিলো সেখানে প্রধান কথায় সে ভীতি কেটে গেছে।
স্বাআলো/এস
.
