
খুলনায় জাল টাকা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৪ লাখ ৮৩ হাজার জাল নোটসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় র্যাব কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-৬-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আটককৃতরা হলেন, আড়ংঘাটা এলাকার জাহিদুল ইসলাম (৫২) ও রূপসা উপজেলার সাইফুল জামান (২৯)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা তৈরি করে সেগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দিচ্ছে। চক্রটি সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন খবরে সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে র্যাবের একটি দল খুলনার আড়ংঘাটা ও ফুলতলা উপজেলার দামোদর সাহাপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। পরে একই দিন রাত ১টা ২০ মিনিটে নগরীর আড়ংঘাটা এলাকা থেকে জাল টাকা তৈরি চক্রের সদস্য জাহিদুল ইসলাম ও সাইফুল জামানকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
এদিকে আটককৃতদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার রাত ২টা ৩০ মিনিটে ফুলতলা উপজেলার দামোদর সাহাপাড়া এলাকায় পরবর্তী অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় একটি ভাড়া বাড়ির ভেতরে জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। অভিযানে বসতবাড়ি থেকে আরো ৪ লাখ ৮৩ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৬-এর অধিনায়ক বলেন, দুটি প্রিন্টার, একটি লেমিনেটিং মেশিন, সাতটি জাল টাকা তৈরির ডাইস, ফেভিকলের আঠা দুটি, হেয়ার ড্রয়ার একটি, জল ছাপ সম্বলিত কাগজ ৩০০ পিস, কালার ফুলের সিল ২০টি, ২০ বোতল জল রং, জাল টাকা তৈরির দুই কার্টন সাদা কাগজ উদ্ধার করা হয়। চক্রটি ২০ কোটি টাকার জাল নোট তৈরির পরিকল্পনা করেছিলো।
তিনি আরো বলেন, আটককৃতরা ২০ কোটি টাকার জাল নোট তৈরির পরিকল্পনা করেছিলো। পরে এই নোট তারা তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলো। বিশেষ করে বাণিজ্য মেলা ও কোরবানির সময় গরুর হাটকে টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ জাল নোট তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলো তারা।
স্বাআলো/এসএস
.
ঢাকা অফিস
