
আফগানিস্তান দখল নেয়ার পর থেকেই সেখানকার মেয়েদের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে যাচ্ছে তালিবানরা। সম্প্রতি সেখানকার মেয়েদের পড়াশোনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। তবে সেই ঘোষণার এক সপ্তাহ পরেই নির্দেশিকা কিছুটা শিথিল করলো সেদেশের সরকার। ‘উচ্চ শিক্ষা নয়! প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারবে আফগান মেয়েরা।’ অবশেষে মেয়েদের পড়াশোনায় অবশেষে অনুমতি দিলো আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ব্যাপারে ইতিমধ্যে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে তালিবানের শিক্ষা মন্ত্রক।
শিক্ষার্থীদের সবাইকে পর্দা মেনে পোশাক পরতে নির্দেশনা দিয়ে তালেবানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল ও শিক্ষা কেন্দ্রগুলো খোলা রাখতে হবে।
তবে মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে। বেশির ভাগ চাকরিতেও নিষিদ্ধই থাকছেন আফগান নারীরা।
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণ করে ২০২১ সালের আগস্টে। ক্ষমতা দখলের পর তারা আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নারীদের জন্য পৃথক শ্রেণিকক্ষ ও প্রবেশপথ চালু করেছিলো। তখন সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী শিক্ষার্থীদের শুধু নারী শিক্ষক বা বয়স্ক পুরুষ শিক্ষক পড়াতে পারতেন।
আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার ওপর অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা দেয় গত মাসে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়েও নারীদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ করে তালেবান সরকার।
আন্তর্জাতিক সমালোচনার জবাবে তালেবানের উচ্চশিক্ষা-বিষয়কমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শরিয়াহ আইনের ভিত্তিতে আফগানিস্তানে নারীদের তাঁরা পড়াশোনার অনুমতি দেবে।
তখন এর সমালোচনা করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। পাশাপাশি জি-৭ ভুক্ত কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও সতর্ক করে তালেবান সরকারকে। এছাড়াও তালেবানকে তাদের এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহবান জানিয়েছে তুরস্ক, কাতার ও পাকিস্তানের মতো বড় বড় মুসলিম দেশগুলোও।
স্বাআলো/এসএস
.
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
