
ইসরায়েল অধিকৃত জেরুজালের প্রান্তিক এলাকার একটি সিনাগগে (ইহুদিদের উপাসনালয়) বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন ৭ জন, আহত হয়েছেন আরো তিনজন। হামলা শেষে পালানোর সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন হামলাকারী নিজেও।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত সোয়া আটটার দিকে ঘটে এই হামলা। ইহুদিদের সাপ্তাহিক পবিত্র দিন শনিবারের উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনার জন্য সমবেত সিনাগগটিতে জড়ো হচ্ছিলেন লোকজন, সেসময়ই অতর্কিতে হামলা করেন আততায়ী।
ঘটনাস্থলে বক্তৃতার সময় ইসরায়েলি পুলিশ কমিশনার কোবি শাবতাই এটিকে ‘সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সবচেয়ে খারাপ হামলাগুলোর মধ্যে একটি’ বলে অভিহিত করেছেন।
পুলিশ কমিশনার কোবি শাবতাই বলেন, ইসরায়েলি উপাসকরা ইহুদি বসতির একটি সিনাগগে ইহুদি সাবাথের শুরুতে প্রার্থনার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। তারা চলে যাওয়ার সময় বন্দুকধারী গুলি চালায়। অফিসাররা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
ইসরায়েলি ফরেনসিক দল একটি সাদা গাড়ির তদন্ত করছে। এই গাড়ি চালিয়ে বন্দুকধারী এসেছিলেন বলে ধারণা তাদের। হামাস এই হামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেও তাদের কেউ এই হামলা চালায়নি বলে জানায়।
সিনাগগের ওই এলাকা নিরাপত্তা বাহিনী বন্ধ করে দিয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী হেলিকপ্টারে করে ওই এলাকা টহল দিচ্ছে।
এই ঘটনায় পাশের ফিলিস্তিনি এলাকার সঙ্গে ইসরায়েলিদের উত্তেজনা বৃদ্ধির শঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এইি হামলার নিন্দা জানিয়েছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ‘আমরা সংহতিতে ইসরায়েলি জনগণের সাথে দাঁড়িয়েছি।
ঘটনার পরপরই ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাইটটি পরিদর্শন করেন। সেখানে গিয়েছিলেন বিতর্কিত উগ্র ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির।
বৃহস্পতিবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সময় ৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এরপর গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়, যার জবাবে ইসরায়েলও বিমান হামলা চালায়।
একজন মুখপাত্র বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েল এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সহিংসতা বৃদ্ধির জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এবং পুরো শহরটিকে তার রাজধানী বলে মনে করে। যদিও এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ অংশ স্বীকৃতি দেয়নি। ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ রাজধানী হিসেবে মনে করে।
স্বাআলো/এসএস
.
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
