প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী ২৫ নির্দেশনা

খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রধানমন্ত্রী ২৫টি নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসকদের প্রতি। তিনি জেলা প্রশাসকদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এখনই যেটা প্রয়োজন শুধু সেটা গ্রহণ করতে হবে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। অনেক উন্নত দেশ তাদেরকে অর্থনৈতিক মন্দার দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। আমাদের যেন সেটা করতে না হয় সেজন্য আমরা কৃচ্ছতা সাধনের ঘোষণা দিয়েছি। অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে ফেলেছি। বিষয়টির প্রতি জেলা প্রশাসকদেও দৃষ্টি রাখতে হবে। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা সন্দেহাতীতভাবে যুগান্তকারী নির্দেশনা।

২৫টি নির্দেশনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় একটি দেশকে এগিয়ে নিতে এবং সেই দেশের আপামর জনসাধারণের অধিকার ও সুখ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে এ নির্দেশনা অনন্য ভূমিকা রাখবে। এ সব নির্দেশনার মধ্যে এমন কোনো দিক নেই যেটি বাদ পড়েছে।

আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি জেলা প্রশাসকরা যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করেন তাহলে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ অনুভব করবে। প্রায় ক্ষেত্রে একটি অভিযোগ শোনা যায় দেশে অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা কোনো অপ্রয়োজনীয় কাজ করতে দ্বিধা করেন না। এতে খরচ বাড়ে। এটা ঠেকানো না গেলে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা জাতির ঘাড়ে এসে পড়বে। জেলা প্রশাসকরা শুনে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তৎপর হন তাহলে অপ্রয়োজনীয় খরচের পরিমাণ কমে আসবে। কোনো প্রকল্পের কাজ যখন হয় তাতে আকাশ ছোয়া অনিয়ম হলেও জনগণ কিছুই করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নিলে সে ক্ষেত্রেও অপরাধ করে আসবে। মূল কথা হলো অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ ছিলো না বলে তারা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিলো। এভাবে কোনো কিছুই চলতে পারে না। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে এবং গণমানুষের কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়িত হোক এ কামনা আমাদের।

স্বাআলো/এসএস

.