
মানুষের কণ্যাণ যাদের স্বপ্ন তারাই পারেন জনহিতকর কাজ করতে। ‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়ে এ জীবন মোর বিলিয়ে দাও’। কবির কথার মত তাঁরা নিজের স্বার্থকে তুচ্ছ ভেবে মানুষের স্বার্থেও কথা সব সময় ভাবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সারা জীবন তাই করেছেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পিতার পদাঙ্ক অনসরণ করে তাই করেছেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩৩ প্রকার ভাতার ব্যবস্থা চালু করেছে, যা অন্য কোন সরকার আজ পর্যন্ত চালু করেনি।
২৬ জানুয়ারি বাগেরহাটের কচুয়ায় শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সভাপতির প্রয়াত পিতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির নামে প্রতিষ্ঠিত কারিগরি কলেজের এক সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস্ পরশ ।
যুবলীগ প্রধান অতি সত্য কথাটি বলেছেন। ব্যক্তি স্বার্থ, দলীয় স্বার্থ, স্বজনপ্রীতি যাদের লক্ষ্য তাদের দ্বারা বৃহত্তর কোন কল্যাণ সাধিত হতে পারে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত আওয়ামী লীগ সরকার যা করছে বা করতে পারছে তা অন্য কোন সরকার করতে পারেনি। তার কারণ তারা ব্যক্তি স্বার্থেও ঊর্দ্ধে উঠতে পারেনি। ক্ষমতার বাইরে থাকতেও শেখ হাসিনা জনগণের কল্যাণ নিয়ে ভেবেছেন এখনো ভেবে চলেছেন। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ ভোট দিলে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা অব্যাহত রাখবে। আর ভোট না দিলে তারা জনগণের কাতারে চলে যাবেন। তবে সরকারি বা বিরোধী দল যেখানেই থাকুন না কেন জনগণের সেবা করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। রাজনীতি করে যদি কেউ বা কোন দল মনে করে বার বার ক্ষমতায় যাবো, ক্ষমতাই বড় কথা তাহলে সেটা ভুল হবে। ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়টি চলে আসবে। তখন ভোটে জেথার জন্য অপকর্ম যা আছে তার সবগুলো প্রয়োগ করতে কুণ্ঠিত হবে না। আর রাজনীতির মাধ্যমে দেশের কল্যাণ করতে চাইলে কোন অপরাধ স্পর্শ করতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান লক্ষ্য দেশ ও দেশের মানুষের সেবা করা। সেটা ক্ষমতায় গিয়ে অথবা ক্ষমতার বাইরে থেকেও হতে পারে। এজন্য তিনি সাহসের সাথে বলতে পেরেছেন জনগণ ভোট দিলে দেশ গড়ার জাতীয় দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।
স্বাআলো/এসএস
.
