
সশরীরে অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে উদ্বোধনী বক্তব্য শেষে এই মেলা উদ্বোধন করেন তিনি। পরে বইমেলা ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো এবারের মেলার আসর। এর মধ্যদিয়ে খুললো বাঙালির প্রাণের মেলার ফটক।
মেলা উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী সাতটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। সেগুলো হলো ১. শেখ হাসিনা সম্পাদিত বঙ্গবন্ধুর রচনাবলি ২. আমার জীবননীতি আমার রাজনীতি ৩. বাংলা একাডেমি পত্রিকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী সংখ্যা ৪. বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী: পাঠ বিশ্লেষণ ৫. কারাগারের রোজনামচার: পাঠ বিশ্লেষণ ৬. আমার দেখা নয়াচীন: পাঠ বিশ্লেষণ ৭. হাসান আজিজুল হকের একটি বই।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি পুরস্কার ২০২২ তুলে দেন। এবার যাদের হাতে একুশে পদক উঠেছে তারা হলেন- কবিতায় ফারুক মাহমুদ ও তারিক সুজাত, কথাসাহিত্যে তাপস মজুমদার ও পারভেজ হোসেন, প্রবন্ধ বা গবেষণায় মাসুদুজ্জামান, অনুবাদে আলম খোরশেদ, নাটকে মিলন কান্তি দে ও ফরিদ আহমদ দুলাল, শিশুসাহিত্যে ধ্রুব এষ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় মুহাম্মদ শামসুল হক, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় সুভাষ সিংহ রায়, বিজ্ঞান বা কল্পবিজ্ঞান বা পরিবেশ বিজ্ঞানে মোকারম হোসেন, আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা বা ভ্রমণকাহিনিতে ইকতিয়ার চৌধুরী, ফোকলোরে আবদুল খালেক ও মুহম্মদ আবদুল জলিল।
‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটি ২০২২’ এর সদস্যদের অনুমতি এবং বাংলা একাডেমির নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে ২৫ জানুয়ারি একাডেমির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
তিন বছর পর সশরীরে হাজির হয়ে বাঙালির বই উৎসব উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা। করোনাভাইরাস মহামারির আগে প্রতি বছরই তিনি সশরীরে হাজির হয়ে বইমেলা উদ্বোধন করতেন। তিনি মেলায় ঘুরে বইও কিনতেন।
গত তিন বছর মহামারির কারণে প্রধানমন্ত্রী মেলায় উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি বইমেলা উদ্বোধন করেছেন ডিজিটালি সংযুক্ত হয়ে। এবার তার উপস্থিতি বইমেলায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করল।
২০২০ সালে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে ঐতিহ্যবাহী বইমেলা শুরু হয় ২ ফেব্রুয়ারি। বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারির কারণে, ২০২১ সালে ১৮ মার্চ এবং ২০২২ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইমেলা শুরু হতে বিলম্ব হয়।
ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল তিনটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। তবে দর্শক ক্রেতা ও পাঠকরা রাত সাড়ে আটটার পরে মেলা প্রাঙ্গনে ঢুকতে পারবেন না।
সরকারি ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং দুপুরে খাবার ও নামাজের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে।
এবারের মেলায় ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি মাঠে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তাছাড়া এ বছর মোট ৩৮টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত বছর ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এছাড়া লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৫৩টি স্টল থাকবে।
যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বইমেলা ভেন্যু ও এর আশেপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে এবং মেলার ১১ লাখ বর্গফুট জায়গার প্রতিটি স্থান সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।
স্বাআলো/এসএ
.
ঢাকা অফিস
