বাণিজ্যমেলা থেকে যাত্রীবেশে অটোয়, চালককে হত্যা করে ছিনতাই

লাশের ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আব্দুল হক (৩৮) নামের এক অটোরিকশা চালককে হত্যার পর তার অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়েছে হত্যাকারীরা।

এ ঘটনায় ধারালো অস্ত্রসহ অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে অটোরিকশাটিকেও।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে উপজেলার ইসলামবাগ কালী এলাকার হাজী আক্রম আলীর কাঠবাগানে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। আব্দুল হক উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কেরাবো এলাকার মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার কালি এলাকার আলী হোসেনের ছেলে শাহজাহান, ডুলুরদিয়া এলাকার মুমিন মোল্লার ছেলে রাজিব, ইসলামবাগ এলাকার আহমদ বেপারীর ছেলে মাসুদ, আবুল হোসেনের ছেলে ইমন, টেংরাটেক এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী।

পুলিশ বলছে, পূর্বাচলে বাণিজ্যমেলা থেকে যাত্রীবেশে আব্দুল হকের অটোরিকশায় ওঠেন ওই পাঁচজন। ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় আব্দুল হককে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তারা।

রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (ওসি) তদন্ত আতাউর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিদিনই অটোরিকশা করে বিভিন্ন এলাকায় যাত্রী আনা-নেয়া করতেন আব্দুল হক। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাণিজ্যমেলা থেকে যাত্রীবেশে একদল ছিনতাইকারী তার অটোরিকশায় ওঠেন। এরপর ছিনতাইকারীরা ইসলামবাগ কালী কবরস্থান এলাকার হাজী আক্রম আলীর কাঠবাগানের নির্জন স্থানে নিয়ে আব্দুল হকের কাছ থেকে অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় চালক বাধা দেন এবং ছিনতাইকারীদের প্রতিরোধের চেষ্টা চালান। এক পর্যায়ে আব্দুল হকের বুকের ডান পাশে ও ডান হাতের বাহুতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন ছিনতাইকারীরা। এতে আব্দুল হক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে বুধবার ভোরে চালক আব্দুল হকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।

ওসি জানান, অভিযুক্তরা সকালে তারাবো বরপা এলাকায় ছিনতাই করা অটোরিকশা বিক্রি করতে নিয়ে গেলে সেখানকার দোকানদার ও স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। তখন তারা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, অটোরিকশা ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় ও তাদের প্রতিরোধ করায় বাধ্য হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

স্বাআলো/এসএ

.

Author
ঢাকা অফিস