রেকর্ড গড়লেন হিরো আলম

বগুড়ার বাসিন্দা আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। সর্বত্র আলোচিত এক নাম। এক সময় এলাকায় ডিশ ব্যবসা করতেন। এরপর ইউটিউবের মাধ্যমে আস্তে আস্তে মানুষের মাঝে পরিচিতি লাভ করেন। ২০১৮ সালে অংশ নিয়েছিলেন সংসদ নির্বাচনেও। আর এই মুহূর্তে তিনি দুই-‍দুটি আসন থেকে উপনির্বাচন করলেন। যদিও দুই আসনেই হেরেছেন।

নন্দীগ্রাম-কাহালু উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-৪ এবং সদর উপজেলা তথা বগুড়া-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে অংশ নিয়েছেন হিরো আলম। মূলত এর মাধ্যমেই তিনি রেকর্ড গড়েছেন। অর্থাৎ বগুড়া তো বটেই, সারাদেশে এর আগে কেউ দুটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেননি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো বড় দলের প্রার্থীরা এর আগে একাধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, কিন্তু স্বতন্ত্র হিসেবে একই ব্যক্তির দুই আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।

প্রসঙ্গত, চলমান একাদশ সংসদ থেকে গত বছরের ১০ ডিসেম্বরে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপি দলীয় এমপিরা। এতে বগুড়ার উল্লিখিত দুটি আসন শূন্য হয়ে পড়ে। শূন্য আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে নেমে পড়েন হিরো আলম। প্রথমে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন নেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ মনোনয়ন না দেয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন তিনি।

কিন্তু বাদসাধে বগুড়া রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়। হিরো আলম নিবাচন অফিস ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী দুই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও যাচাই-বাছাইয়ে তা বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। জেলা নির্বাচন অফিসের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অবশেষে উচ্চ আদালতে আপিল করে দুই আসনেই মনোনয়ন ফিরে পান হিরো আলম। এরপর শুরু করেন নির্বাচনী প্রচার। যদিও দুই আসনেই আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম হেরে গেছেন। তবুও রেখে গেলেন রেকর্ড।

ভোট গণনা শেষে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

বগুড়া-৬ সদর আসনে আওয়ামী লীগের রাগেবুল আহসান রিপু, জাপার নুরুল ইসলাম ওমর, স্বতন্ত্র আব্দুল মান্নানসহ ১১ জন এবং বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে জাসদের রেজাউল করিম তানসেন, স্বতন্ত্র কামরুল হাসান জুয়েল, জাপার শাহীন মোস্তফা কামালসহ ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর দুটি আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে অংশ নেন হিরো আলম।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯। আর বগুড়া-৬ (সদর) আসনে মোট ভোটার চার লাখ ১০ হাজার ৭৪৩ জন।র।

স্বাআলো/এসএ

.

Author
রাজশাহী ব্যুরো