
দীর্ঘ ৯ বছর পর হচ্ছে অপেক্ষার অবসান। খুলছে ৩১ কিলোমিটার ডাবল লাইন রেলপথ।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে মন্দবাগ ও কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল করবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
রেলওয়ে জানায়, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ ও বিদ্যমান রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। নানা কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে এ প্রকল্পের সার্বিক কাজ সমাপ্ত হবে। বর্তমানে প্রকল্পের অগ্রগতি ৯০ শতাংশ।
প্রকল্পের পরিচালক শহীদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, চলতি মাসের ৯ তারিখে ৩১ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বাণিজ্যিকভাবে রেল চলাচল শুরু হবে। তবে বাকি কাজ সমাপ্ত করতে জুন পর্যন্ত সময় লাগবে। বর্তমানে প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা নেই, অগ্রগতি ৯০ শতাংশ।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, আখাউড়া লাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের রুট হলো ৭২ কিলোমিটার ও এর ট্র্যাক হলো ১৪৪ কিলোমিটার। এছাড়া ইয়ার্ড, লুফ লাইনসহ মোট ১৮৪ দশমিক ৬০ কিলোমিটার নির্মাণ করা হবে। লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে। ফলে এখন সিঙ্গেল লাইনে ট্রেন চলাচল করছে। এ লাইনে ট্রেনের স্বাভাবিক গতি ৮০ কিলোমিটার। কিন্তু এখন ট্রেন চালাতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে। ফলে ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছতে ২০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত দেরি হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ৩২১ কিলোমিটার রেলপথের ১১৮ কিলোমিটার আগে থেকেই ডাবল লাইন ছিলো। ২০০৮ সালের পর দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩১ কিলোমিটার রেলপথ ডাবল লাইন করা হয়েছে। বাকি ৭২ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন হিসেবে উন্নীতকরণে এই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পটি ২০১৪ সালের নভেম্বরে শুরু হয়ে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কোভিড-১৯ এর কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে দেয় সরকার। পরবর্তীসময়ে প্রকল্প পরিচালক আবার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে আবারো এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি হতে হতে এখন ২০২৩ সালের জুন মাস নাগাদ করা হয়।
স্বাআলো/এসএ
.
ঢাকা অফিস
