
দেশে একবারে সিলিন্ডার গ্যাসের দাম বেড়েছে ২৬৬ টাকা। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে খেয়াল-খুশিমতো। গত মাসে ১২ কেজির একটি সিলিন্ডারের দাম ছিলো ১ হাজার ২৩২ টাকা। সরকার নির্ধারিত নতুন দাম ১ হাজার ৪৯৮ টাকা কিন্তু দোকানি নিচ্ছেন সর্বনিম্ন ১ হাজার ৭০০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের এক দোকানের কর্মচারী আমিন উদ্দিন বাজারেই থাকেন তাই রান্নার কাজে সিলিন্ডারের গ্যাসই ভরসা। গত মাসে ১২ কেজির একটি এলপি গ্যাসের দাম ছিলো ১ হাজার ২৩২ টাকা। সম্প্রতি এক লাফে ২৬৬ বেড়ে দাম হয়েছে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা। কিন্তু আমিনকে কিনতে হয়েছে ১ হাজার ৭০০ টাকায়।
এ বিষয়ে আমিন উদ্দিন বলেন, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম আগে ছিলো ১ হাজার ৩৫০ টাকা। কিন্তু এখন ১ হাজার ৭০০ টাকা নিচ্ছে।
আরেকজন ক্রেতা বলেন, আগের যে বোতল ছিলো, সেটিতে গ্যাস ভরে দেয়নি। এতে আমার নতুন করে বোতল কিনতে হয়েছে। ফলে আমার ২ হাজার ৭০০ টাকা দিতে হয়েছে।
রাজধানীর বহু মানুষের অভিযোগ ১২ কেজির সিলিন্ডার ১ হাজার ৫০০ টাকায় তো নয়ই, কিছু ক্ষেত্রে ২ হাজার টাকা দিয়েও মিলছে না। যার সত্যতা পাওয়া গেলো রাজধানীর কারওয়ান বাজারে।
সেখানের এক বিক্রেতা বলেন, আমরা ডিলারদের থেকে বেশি দামে কিনি, তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়। দাম বেশি তাই আমরা নিজেরাও তেমন একটা কিনছি না। আমরা কিনেছিই ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। তাহলে আমরা বিক্রি করবো কত টাকায়?
এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সচিব খলিলুর রহমান খান বলেন, দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে কিছু নির্ধারিত বিষয় থাকে। সবকিছুর দাম কিন্তু প্রতি মাসে পরিবর্তন হয় না। শুধু বিউটেন ও প্রোপেনের দাম ওঠানামা করে। সৌদির সঙ্গে আমাদের কন্ট্রাক্ট প্রাইজের ওপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করা হয়। প্রতি মাসের শেষের দিকে সৌদি আরামকো যে কন্ট্রাক্ট প্রাইজ ঘোষণা করে সেটির ওপর ভিত্তি করেই দাম নির্ধারণ করা হয়।
খলিলুর রহমান খান বলেন, খুচরা পর্যায়ে কেউ যদি বাড়তি দাম রাখেন তবে অভিযোগ পেলে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি বলেন, যদি কেউ বেশি দামে বিক্রি করে থাকে, তাহলে ভোক্তা অধিকার ব্যবস্থা নেবে। কিংবা জেলা প্রশাসন বা উপজেলা প্রশাসনও ব্যবস্থা নিতে পারে। আর যদি বেশি দামে বিক্রি করার কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ থাকে, সেক্ষেত্রে যদি ভোক্তারা আমাদের এখানে প্রমাণসহ আবেদন করেন তাহলে আমাদের কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স আছে, সেখানে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যদিও বাস্তবতা হলো অভিযান চলে, জরিমানাও হয় কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। ন্যায্য দাম রাখতে বললে উল্টো দোকানিদের কাছ থেকে বিরূপ মন্তব্য শুনতে হয় ক্রেতাকে।
স্বাআলো/এসএ
.
ঢাকা অফিস
