শবে বরাত: সবাই তো ভালো খেতে চায়, সামর্থ্যটাই সমস্যা

মুসলিমদের পবিত্র শবে বরাত আজ। এ উপলক্ষে বাজারগুলোতে বেড়েছে মুরগি ও গরু মাংসের কেনাবেচা। সারা বছর মাংস খেতে না পারলেও এই দিনে সাধ্য অনুযায়ী মাংস কিনছেন সাধারণ মানুষ।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সকালে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্য দিনের তুলনায় মাংসের দোকানগুলোতে কিছুটা বেশি ভিড়। কেউ-কেউ মাংস কিনেছেন, কেউবা দাঁড়িয়ে আছেন কসাই-এর কাটা শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ৷

এক দিনমজুর ৩৫০ টাকায় আধা কেজি গরুর মাংস কিনেছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো সারা বছর মাংস খেতে পারি না। আগে তাও মাঝে মধ্যে মুরগির মাংস খেতে পারতাম। এখন দাম বাড়ায় সেটাও বন্ধ। আজ শবে বরাত, বাসায় বাচ্চাকাচ্চা আছে। তাই একটু মাংস নিলাম। এই একটা দিন একটু ভালো-মন্দ খাওয়া আরকি।

একই দোকানে গরুর মাংস কিনছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, মাংস আসলে আমরা সব সময় কিনতে পারি না। বিশেষ করে গরুর মাংস। আমরা ব্যাচেলর বাসায় থাকি। আমাদের তো আর এখানে পরিবার নেই। সবাই মিলে চাঁদা তুলে মাংস কিনলাম। রাতে শবে-বরাতের ইবাদত-বন্দেগি করবো। একটু ভালো-মন্দও খেলাম এই আরকি।

এদিকে, মুরগির মাংসের দোকানেও ছিলো ভিড়। ২৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছিলো ৩৫০ টাকা কেজি।

মুরগি কিনতে আসা একজন বলেন, গরুর মাংসের দাম বেশি। তাই মুরগি কিনতে এসেছি। মুরগির মাংসের দাম গরুর মাংসের তুলনায় কম।

পাশেই ব্রয়লার মুরগির পা-মাথা, গিলা-কলিজা বিক্রি হচ্ছিলো কেজি দরে। সেখানেও ভিড় ছিলো দেখার মতো। ১২০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গিলা-কলিজা। দামের হিসেবে মাছের দাম বেশি হওয়ায় মাছ না কিনে অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন সেখানে।

বিক্রেতা বলেন, অন্য দিনের চেয়ে আজকে একটু বিক্রি ভালো ৷ শবে বরাত আমাদের দেশে বরাবরই একটু উৎসবের মতো করে উদযাপন করা হয়। তাই, আজ একটু বিক্রি ভালো। পাশেই আমার মুরগির দোকান। আসলে মানুষ তো ভালোই খেতে চায়-সামর্থ্যটাই সমস্যা।

বাজারে ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৩৫-২৪০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৫০-৩৭০ টাকা, মুরগির গিলা-কলিজা ১২০-১৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

স্বাআলো/এস