
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার চাওয়া-পাওয়ার আর কিছু নেই। যেদিন দেশে এসেছিলাম সেদিন বুঝেছিলাম বাংলার মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে।
আজ শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা অল্প সময়ের মধ্যেই একটি যুদ্ব বিধ্বস্ত দেশে সংবিধান দিয়েছেন, রেলসেতু, সড়ক সেতু পুনঃনির্মাণ করেছেন। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিলো তখনই জাতির জনক ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়। তখন বিদেশে ছিলাম। বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। ৬ বছর পর দেশে এসেছি। বাংলাদেশের জনগণের ওপর ভরসা করে ফিরে এসেছিলাম। এরপর জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছি।
প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা ও উদ্বোধন করা মোট ১০৩টি প্রকল্পের নাম উল্লেখ করে বলেন, এ উন্নয়নগুলো হলো। অসমাপ্ত কিছু কাজ ধীরে ধীরে হবে। আপনারা এগুলো দেখে শুনে রাখবেন। আরো কাজ করে দেয়ার ইচ্ছা ছিলো, কিন্তু করোনা ও ইউক্রেন যুদ্বের কারণে অনেক কিছু করা গেলো না।
তিনি বলেন, সরকার প্রতিটি বিভাগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেবে। ময়মনসিংহেও মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় হবে। করোনার সময় বিনামূল্যে ভ্যাসকিন দিয়েছি। যা অনেক উন্নত দেশও সক্ষম হয়নি।
বিএনপি-জামায়াত প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন- সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ছিলো বিএনপি-জামায়াতের কাজ। এদের আমলেই ময়মনসিংহের ৪ সিনেমা হলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিলো। বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সবসময় অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগীদের দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করে। দেশে লুটপাট ও ধ্বংসের রাজনীতি চালু করে।
তিনি বলেন, বিএনপি ধ্বংস করে। আর আওয়ামী লীগ করে উন্নয়ন। বর্তমানে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। কেউ অন্ধকারে থাকবে না। থাকবে না কেউ গৃহহীন। কোনো ভূমিহীনও দেশে থাকবে না। আওয়ামী লীগ সরকারে সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। সামনের দিনে এ কাজ অব্যাহত থাকবে। বিএনপির আমলে দেশে ৪১ ভাগ দারিদ্রের হার ছিলো। এখন সেটি ২০ ভাগে নেমে এসেছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম। আরো উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জ্বাক, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোহীত উর রহমান শান্ত প্রমুখ।
স্বাআলো/এস
.
