
ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসার পন্থা খুঁজে বের করতে হবে এবং সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে নিজেরা নিজেদের বাজার হারাবেন। ১১ মার্চ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট- ২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বছরজুড়েই নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে হাহাকার লেগে থাকে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের। অবস্থার পরিবর্তন হয় না রমজান মাসেও। রোজার দিনগুলোতেও বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য থাকে লাগামহীন। এবারো দুয়ারে কড়া নাড়ছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। এরই মধ্যে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও একটু একটু করে আরো বাড়তে শুরু করেছে। শেষ পর্যন্ত আকাশছোঁয়া এ দাম কোথায় গিয়ে থামে, তা নিয়েই এখন দরিদ্র ও নিম্নবিত্তের মানুষের যতো চিন্তা।
রমজান সামনে রেখে বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে। উদ্বেগ বাড়ছে নিম্নআয়ের মানুষের। নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে নাভিশ্বাস উঠছে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভোক্তাদের। এ-দোকান ও-দোকান ঘুরেও সাধ্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছেন না অনেকে। প্রতিদিনের ডাল-ভাতের হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে অতি প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে চুপচাপ বাজার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এর অভিঘাত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বাণিজ্যিক অবরোধ বা পাল্টা অবরোধে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নকামী দেশেগুলোকে কঠিন সমস্যার সম্মুখীন করেছে। শুধু আমাদের মতো দেশ না, উন্নত দেশগুলোও কিন্তু হিমশিম খাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিসহ মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের নেতাদের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসার পন্থা খুঁজে বের করতে হবে এবং সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে নিজেরা নিজেদের বাজার হারাবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। করোনায় পুরো বিশ্ব থমকে গেলেও আমাদের অর্থনীতি থামেনি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে উন্নয়নের রোল মডেল।
অনেক সময় বিশ্ববাজারে দাম বাড়া বা দেশে মজুতদারির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। তবে শুধু এসব কারণই দায়ী নয়। এর বাইরেও অনেক কারণ রয়েছে। এমনও দেখা যায় যে, বিশ্ববাজারে দাম বাড়েনি তবে দেশে দাম বেড়েছে। আমরা বলতে চাই, সমস্যার চূড়ায় হাত দেয়ার চেয়ে এর শেকড় অনুসন্ধান করা এবং সে অনুযায়ী সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। সমস্যার গভীরে পৌঁছাতে না পারলে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া না হলে এই সংকট কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না।
স্বাআলো/এস
.
