যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়া প্রয়োজন

১২ মার্চ যশোর জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বেপরোয়া চলাচলের কারণে যশোর অঞ্চলে দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি রোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে জোর দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। একই সাথে যে সড়কে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে সে সড়কে মনিটরিং-প্রচারণা ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বহী অফিসারকে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন তিনি। প্রতিদিন পত্র-পত্রিকার পাতা উল্টালেই সর্বপ্রথম যে খবরটি সামনে আসে সেটি হলো সড়ক দুর্ঘটনা। এতে হররোজ বেশমার মানুষ মারা যাচ্ছে। মানুষ মরণশীল জন্মিলে মরতে হবে। কিন্তু দুর্ঘটনায় মৃত্যু কাক্সিক্ষত নয়। দুর্ঘটনার বিষয়টাকে নিয়তির বিষয় বলা হয়ে থাকে। প্রবাদ আছে ‘মরণ লেখা পায়, যার যেখানে মরণ আছে সেখানে গিয়ে হয়।’ কিন্তু তার পরেও সতর্কতা বা সচেতনতা বলে একটা বিষয় আছে যেটাকে কোনোক্রমেই উড়িয়ে দেয়া না। এ জন্য দুর্ঘটনা আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তি শাস্তি মুখোমুখি হতে হয়। এখানে নিয়তির বিষয় বলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে সড়কে যানবাহনের গতি যদি নিয়ন্ত্রিত হতো তাহলে দুর্ঘটনা অনেক কমতো বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। কিন্তু কথা কেই শুনছে না মানছেও না। প্রধানমন্ত্রী কতকগুলো নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তাও মানা হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।

সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এ ক্ষেত্রে আমরা যতদূর জানি তরুণরা যখন এই যান হাতে পায় তখন তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে চালাতে গিয়ে তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় পড়ে। জন্ম হয় বিয়গান্ত ঘটনার। অভিভাবক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্কার লোকজনকে এই বেপরোয় গতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়া দরকার। বিষয়টাকে পাশ কাটিয়ে গেলে এসব ঘটনা ঠেকানো যাবে না। অন্যান্য যানবহন চলাচলে কোনো নিয়ম নীতি মানতে দেখা যাচ্ছে না। মনে হয় যেন একটা ফ্রি স্টাইলের দেশে যানবাহনগুলো চলাচল করছে। হালে একটি কথা শোনা যাচ্ছে বেশি করে। তা হলো যানবাহণ চলাচলের বিষয়ে কড়াকড়ি করলে নাকি শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হবে। তাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়তে পারে। এটা খোড়া অজুহাত। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দেশটাকে সঠিক পথে চলতে হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। সড়কে মৃত্যু রোধ করতে হলে আইনের কাছে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

স্বাআলো/এসএস

.