
বাগেরহাটের মোংলার নারিকেলতলা থেকে ১২ কেজি হরিণের মাংসসহ দুই চোরা শিকারিকে আটক করেছে স্থানীয়রা। ১৩ মার্চ বেলা ১১টার দিকে মোংলা উপজেলার তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, নারিকেলতলা আবাসন এলাকার ভ্যানচালক বেল্লাল শরীফ (৩২) ও রাজমিস্ত্রি সাদ্দাম হোসেন (৩২)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন মল্লিক জানান, সুন্দরবনের অসাধু বনরক্ষীদের সহায়তায় চোরা শিকারিরা প্রায় সুন্দরবন থেকে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে গোপনে বিক্রি করছে।
বাগেরহাটের সুন্দরবন কেন্দ্রীক চোরা শিকারিরা বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। সুন্দরবনে হরিণ ধরা নিষেধ। প্রশ্ন জাগে তারপরও শিকারীরা হরিণ ধরতে জাল পাতছে কি করে? তারপর বাঘ হত্যাও নিষিদ্ধ। হরিণ শিকারীদের রেহাই দেয়া যায় না। কারণ তারা হরিণ শিকার করতে গিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাঘ হত্যা করে। দেশের এক শ্রেণির ভোজন রসিকদের লালসা পূরণে শিকারীরা আইন অমান্য করে হরিণ শিকার করে সরবরাহ করে মোটা অংকের টাকা বাগায়। এই বোজন রসিকরাও কম দায়ি নয়। কিন্তু এ পর্যন্ত শিকারীদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ শিকারীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে বলে শোনা যায়নি।
শুধু হরিণ নয়, সুন্দরবনের বাঘও শিকার করা হচ্ছে অবলিলায়। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশে বছরে বাঘের মৃত্যুর ঘটনা ছিলো একটি করে। চোরা শিকারিদের অস্ত্রের আঘাতে বেশির ভাগ বাঘের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে ২০০৪ সালের পায়ের ছাপ গুনে করা জরিপে ৪৪০টি বাঘ থাকার কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু ২০১৫ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ক্যামেরা ফাঁদের মাধ্যমে করা জরিপে বাঘের সংখ্যা বেরিয়ে আসে ১০৬টি।
এরপর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আরেকটি শুমারি করে জানায়, বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। বাঘ রক্ষার জন্য বন বিভাগকে যেভাবে প্রস্তুত করা দরকার, তা এখনো হয়নি। এ কারণে আদৌ সুন্দরবনে কোনোমতে বাঘগুলো শেষ পর্যন্ত টিকবে কিনা সন্দেহ দেখা দিয়েছে।। সরকারের উচিত নিজ উদ্যোগে বাঘের সুরক্ষার উদ্যোগ নেয়া।
প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, দেশের উন্নয়নে যে পদক্ষেপই নেয়া হোক না কেনো সুন্দরবন এবং এর জীববৈচিত্র্য যেনো কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সরকার প্রধানের এ আহবানের প্রতি সবার সচেতন থাকা বাঞ্চনীয়।
স্বাআলো/এস
.
