
বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ভারতের নুমালিগড় থেকে শিলিগুড়ি হয়ে ১৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইনে বাংলাদেশের পার্বতীপুর পর্যন্ত ডিজেল আনা হবে।
ভারতের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম তিন বছর বার্ষিক দুই লাখ টন করে, পরের তিন বছর তিন লাখ টন করে, পরের চার বছর পাঁচ লাখ টন করে এবং পরবর্তী বছরগুলোতে বার্ষিক ১০ লাখ টন করে জ্বালানি ভারত থেকে বাংলাদেশে আসবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মেঘনা পেট্রোলিয়ামের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘ এ পাইপলাইনে ৪৭ লাখ লিটার বা চার হাজার ৭০০ টন তেল সব সময় সংরক্ষিত থাকবে। শিলিগুড়ি প্রান্ত থেকে নতুন তেল দিয়ে চাপ দিলেই পার্বতীপুর প্রান্তে পাইপের তেল বেরিয়ে ছাকনি প্রক্রিয়া শেষে ডিপোতে জমা হবে। এ জন্য পার্বতীপুরে আগে থেকেই বিপিসির ১৫ হাজার টন তেল মজুত করার মতো ট্যাঙ্কার রয়েছে। নতুন করে সেখানে আরো ছয়টি ট্যাঙ্কার নির্মাণ করা হচ্ছে, যার ধারণ ক্ষমতা ২৯ হাজার টন।
২০২০ সালের মার্চে এ পাইপলাইনের কাজ শুরু হয়ে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কাজ এক বছর পিছিয়ে যায়। এর আগে ২০১৭ সালের এপ্রিলে পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানির জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই হয়। একই বছরের অক্টোবরে এনআরএল বাংলাদেশে ডিজেল রফতানির জন্য বিপিসির সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি আরেকটি চুক্তি করে। ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাইপলাইনের কাজের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি।
স্বাআলো/এসএ
.
ঢাকা অফিস
