ভাতা ও উপবৃত্তির টাকা নিয়ে প্রতারকদের খেলা বন্ধ করতে হবে

দেশের বিভিন্ন স্থানে শত শত বিধবা, প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের ভাতা ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে একটি প্রতারকচক্র। ভাতার টাকা খুইয়ে দিশেহারা ভাতাভোগীরা। বাদ পড়েনি স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও। এ ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে ক্ষতিগ্রস্তরা কারো কাছ থেকে কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন না।

ঝিনাইগহের শুড়া গ্রামের সায়েরা খাতুনের একাউন্টে গত কয়েকদিন আগে ১৫০০ টাকা এসেছিলো। হঠাৎ একটি নম্বর থেকে সমাজসেবা অফিসের পরিচয় দিয়ে তার ফোনে একটি এসএমএস গেছে বলে ওটিপি পাসওয়ার্ড পিন নম্বর নেয়া হয়। তারপর তিনি দোকানে গিয়ে টাকা তুলতে গেলে জানতে পারেন, তার একাউন্টে কোনো টাকা নেই। হরিণাকুন্ডু পৌর এলাকাধীন আমেরচারা গ্রামের শামসুন্নাহার নিয়মিতভাবে এই ভাতার টাকা পেয়ে থাকেন। সম্প্রতি তার ফোনে সমাজসেবা দফতরের জুয়েল হোসেন পরিচয় দিয়ে তার একাউন্টে ঝামেলা হয়েছে বলে একটা এসএমএস দিয়ে ওটিপি পাসওয়ার্ড পিন নম্বর নিয়ে নেয়। এরপর থেকে তার মোবাইলে কোন টাকা নেই।

এভাবে প্রতিদিন যেমন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ হচ্ছে তেমনি সাংবাদিরকদের কাছে শত শত বিধবা, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও শিক্ষার্থীরা ভাতার টাকা হারিয়ে ছুটে আসছেন। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, পৌরসভা এবং থানায় যান তারা।

সংশ্লিষ্ট বলেন, একটি প্রতারকচক্র মিথ্যা পরিচয়ে এই সব ভাতাভোগীদের বিভ্রান্ত করে তাদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে সম্বন্বয় মিটিংসহ ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমেও নানাভাবে প্রচার করা হচ্ছে।

ক্ষদিগ্রস্তরা বলেন, ডিজিটাল নামের এসব পদ্ধতিতে দুর্নীতি বেড়েছে। আগের আমলের মতো খাতা কলমে লেনদেন হলে সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হতো না। এটি তাদের ব্যাথার কথা। সমস্যা হলে তার সমাধানের পথ বের করতে হবে। কথায় আছে মাথা ব্যথা করছে বলে মাথা তো কেটে ফেলা যাবে না। মাথা ব্যথার চিকিৎসা করতে হবে। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে রযাগাযোগ করে কোন ফল পাচ্ছেন না এটাই হচ্ছে বড় সমস্যা। যাদের ওপর দায়িত্ব তারা এ ব্যাপারে একবারেই উদাসিন। তাদের ভাবখানা এই যে কোথায় কোন অখ্যাত মানুষের টাকা খোয়া যাচ্ছে তার পেছনে তাদের মত সম্মানিত(!) মানষের পক্ষে দ্যেড়ানো সম্ভব নয়। ১৬ কোটি মানুষের দেশ এই বাংলাদেশ। তারা ধনী দরিদ্র যে পর্যায়েরই মানুশই হোক হোক না কেন তাদের সেবা প্রদানে সরকারি কর্মকর্তাদের আন্তরিক হতে হবে।

স্বাআলো/এসএস

.