
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাল্যবিবাহ যেমন জরায়ু মুখের ক্যানসারের অন্যতম কারণ, দেরিতে বিয়েও তেমনি একটি কারণ। তাই নারীদের ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যেই বিবাহ হলে ঝুঁকি কমে। তবে দ্রুত চিহ্নিত করাই জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় বলে জানান তিনি।
রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বিএসএমএমইউর এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জরায়ুমুখের ক্যানসার যথা সময়ে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম আরো জোরদার করতে হবে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, জরায়ুমুখের ক্যানসার চিকিৎসায় অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগ, গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগ, ভাইরোলজি বিভাগ, অনকোলজি বিভাগ, রেডিওলজি বিভাগ, প্যাথলজি বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডা. ফারজানা শারমিন তার ‘ইভালুয়েশন অব পোস্ট মেনোপজাল ব্লিডিং’ শীর্ষক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, নারীদের মাসিক বন্ধ হবার পরও রক্তক্ষরণ হলে তাকে পোস্ট মেনোপজাল ব্লিডিং বলে এবং এটা নারীর স্বাস্থ্যের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। সাধারণত ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই রক্তক্ষরণের কারণটা স্বাভাবিক কিন্তু ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এটা জরায়ুর ক্যানসারের জন্য হয়ে থাকে। এমন হলে ডাক্তারের পরামর্শমতো পরীক্ষা নিরীক্ষা ও চিকিৎসা নেয়া উচিত।
প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত হলে অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায় এবং ৪র্থ পর্যায়ের জরায়ুর ক্যানসার রেডিওথেরাপি মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়। ক্যানসার হওয়ার আগেই এই রোগ ক্যানসার পূর্ববর্তী অবস্থায় শনাক্ত করতে পারলে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব।
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খানসহ অনেক।
স্বাআলো/এস
.
ঢাকা অফিস
