
আগের বছরের তুলনায় এ বছর ইফতার সামগ্রীর বেচাকেনা কম হচ্ছে। ইফতারে যে পণ্যগুলো না কিনলেই নয় সেগুলোও পরিমাণে কম কিনে চলার চেষ্টা করছে নগরবাসী। ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারকে এখনই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে হবে। তা না হলে সংকট আরো বাড়বে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যমূল্য মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় গত রমজানের তুলনায় এবার ভোগ্য পণ্যের চাহিদা ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম থাকবে। তবে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের দাবি- বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে, যার প্রমাণও মিলেছে ক্রেতাদের মুখে। গত রোজার শুরুতে যারা চার-পাঁচ কেজি মুড়ি, খেজুর, ছোলা কিনে ছিলো, তারাই এবার দেড় থেকে দুই কেজি করে এসব পণ্য কিনছে।
খুচরা বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হচ্ছে খেজুর, চিড়া ও মুড়ি। এ ছাড়া ছোলা, ডাল, বেসন, আটা ও ময়দা খুব বেশি বিক্রি হচ্ছে না।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজি প্রতি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, খেজুর ১২০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, চিড়া ৭০ টাকা, মুড়ি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, ইসবগুলের ভুসি এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৩৫০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা ও বেসন ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এলাকাভেদে দামে কিছুটা তারতম্য দেখা গেছে।
এ বিষয়ে কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রেসিডেন্ট গোলাম রহমান বলেন, নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতা সাংঘাতিকভাবে কমে গেছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষ সংকটে আছে। এটা থেকে আমরা কিভাবে বের হয়ে আসব, সেটা আল্লাহই জানেন। মানুষের জীবনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সামনে এই সংকট মানুষের জীবনে আরো ঘনীভূত হবে বলে মনে করছি।
সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানায়, জিনিসপত্রের দাম বা মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখীর কারণে মানুষ কম খাচ্ছে। অনেকেই খাদ্য ব্যয় কমাতে প্রতিদিনের তালিকা থেকে মাছ-মাংস বাদ দিচ্ছে।
স্বাআলো/এস
.
ঢাকা অফিস
