
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরকে বলৎকারের অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর তাৎক্ষণিক তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে গ্রেফতার তিন আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এর আগে, গত বুধবার ভুক্তভোগী কিশোরের পিতা বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের বারেক পুলিশ বাড়ির সেকান্তরের ছেলে সাইদুল হক (৫৫) একই গ্রামের সালাউদ্দিনের ছেলে রুবেল (৩০) ও লোকমান মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন (৪৫)।
মামলার অপর আসামিরা হলো- উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের সিরাজ মাষ্টারের বাড়ির আব্দুল জব্বারের ছেলে নাসির আহমদ (৫০) একই গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির জাফর (৫২) সুলতান মিয়ার বাড়ির বশির আহমদের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৬) ছোট সিদ্দিকের বাড়ির বাহার মিয়ার ছেলে আলী (২২) বারেক পুলিশ বাড়ির রেজাউল হকের ছেলে রুবেল (২৫) উপজেলার পূর্ব লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে যুবরাজ (৩৫) একই গ্রামের আব্দুল মান্নাছের ছেলে ইব্রাহীম (৪৪)।
ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আদর্শ স্কুল মোড় নামক স্থানের আল ফারুক জামে মসজিদ প্রতিনিয়ত পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করে আসছেন ভিকটিম কিশোর (১৫)। বিবাদীগণ দুশ্চরিত্রা প্রকৃতির লোক। তারা বিভিন্ন সময় আল ফারুক জামে মসজিদে নামাজ পড়ার সময় ভিকটিমের সাথে পরিচয় হয়। তারপর মামলার প্রধান আসামি সাইদুল হক (৫৫) ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে বলৎকার করে। এরপর ওই সুযোগে মামলার দ্বিতীয় আসামি ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলৎকার করে। সর্বশেষ ঘটনায় ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। শেষে এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে গত বুধবার ২২ মার্চ সুধারাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
সুধারাম থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মিজান পাঠান বলেন, এ ঘটনায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
স্বাআলো/এস
.
জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী
