
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় প্রসবের পর নবজাতককে হাসপাতালের টয়লেটে রেখে পালিয়েছে এক মা।
রবিবার (২৬ মার্চ) জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মেজবাহুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে নবজাতকটিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে রয়েছে।
জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মেজবাহুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, জলঢাকার উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের কোটিপাড়া এলাকার এক কিশোরী পেটে ব্যাথা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আসেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুপুরে প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন ওই কিশোরী। তবে জরুরি বিভাগে কিছু না বলে টয়লেটে চলে যায় সে। টয়লেটেই একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয় ওই কিশোরী। সেই কিশোরী অবিবাহিত হওয়ায় পরিবারের লোকজনের কাছে তার নবজাতকের বাবার পরিচয় কি দেবেন এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে না পেয়ে সন্তান প্রসবের পরপরই সটকে পড়ে সে। একটু পরে সেখানে বাচ্চার কান্নার শব্দ হলে লোকজনের জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে লোজজনের ভিড় বাড়তে থাকে। পরে হাসপাতালে সিনিয়র নার্স ও দায়িত্বরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
আরএমও মেজবাহুর রহমান বলেন, দুপুরে এক কিশোরী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। ভর্তি না হয়ে জরুরি বিভাগের টয়লেটে চলে যায়। সেখানে প্রসবের পর বাচ্চা রেখে পালিয়ে যায়। পরে সেখানে থাকা লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাচ্চাটিকে আমরা উদ্ধার করি।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসান ডা. আবু রেজওয়ানুল কবীর বলেন, উদ্ধার হওয়া বাচ্চাটি বর্তমানে সুস্থ আছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। হাসপাতালে সিসিটিভি রয়েছে, সিসিটিভি চেক করলে বাচ্চাটির মায়ের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।
স্বাআলো/এসএস
.
