
সরকারি চাকরিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করে আইন হচ্ছে বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রেও ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করে আইন সংশোধন করা হবে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে পুলিশ সদস্যদের মাদকমুক্ত করতে ২০২০ সাল থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) ডোপ টেস্ট বা মাদক পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময়ের মধ্যে ডিএমপির কনস্টেবল থেকে উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন। এ ছাড়া ব্যবস্থা নেয়ার আগে একজন মারা গেছেন এবং আরেকজন অবসরে চলে গেছেন। বাকি আটজন শাস্তি দেয়ার মধ্যে আছেন।
ডিএমপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডোপ টেস্টে বেশি পজেটিভ হয়েছেন পুলিশ কনস্টেবলরা। ডোপ টেস্টে মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়া ১২৬ পুলিশ সদস্যের মধ্যে ৯৮ জনই কনস্টেবল। বাকিদের মধ্যে একজন পুলিশ পরিদর্শক, ১১ জন উপপরিদর্শক, একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট, সাতজন সহকারী উপরিদর্শক এবং আটজন নায়েক। ২০২০ সালের ১০ মার্চ থেকে ডিএমপিতে শুরু হওয়া এই ডোপ টেস্ট ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত জোরেশোরে চলে। ওই বছরের আগস্ট থেকে ডোপ টেস্টে শনাক্তের সংখ্যা কমে গেছে। এখন সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যকে এই ডোপ টেস্ট করা হয়। অনেকের চাকরি চলে যাওয়ায় পুলিশে মাদকাসক্তের সংখ্যা কমে গেছে। এই ডোপ টেস্ট অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে সরকারের কঠোরতা আমরা লক্ষ্য করছি। কিন্তু তারপরও কাঙ্খিত সুফল মিলছে না। মাদকসেবী এবং মাদক ব্যবসায়ীরা যেনো সরকারের বিরুদ্ধে চ্যালঞ্জ গ্রহণ করেছে। শহরে তো বটেই মাদকের ব্যাপকতা গ্রাম এলাকায়ও। মাদকাসক্তরা সামাজিক পরিবেশ পুরোটাই নষ্ট করে ফেলছে। তাদের কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি ঘটছে। এমন কোনো অপরাধ নেই যা তাদের দিয়ে ঘটছে না। উন্নয়ন ও মাদকের সহাবস্থান চলতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। এ গতিকে সাসটেইনেবল করতে হলে আগে মাদক নির্মূল করতে হবে। এজন্য সরকারকে হতে হবে আরো কঠোর ও দৃঢ়। এ ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট অনেকটা কাজ করবে বলে আমাদের ধারণা।
স্বাআলো/এস
.
