জো বাইডেন বললেন ‘জয় বাংলা’

বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই বার্তা তিনি শুরু করেছেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রশংসা দিয়ে এবং শেষ করেছেন ‘জয় বাংলা’ দিয়ে।

কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিনন্দন বার্তা আদান-প্রদান একটি সাধারণ ঘটনা। কিন্তু এই সাধারণ ঘটনাকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি দিয়ে অন্য একটি মাত্রা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এ বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এটি একটি অত্যন্ত দুর্লভ ঘটনা। আমার স্মরণে নেই মার্কিন এমন কোনো চিঠি বা বার্তা যেখানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি যুক্ত করা। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক একটি বিষয়।

তিনি বলেন, আমার ধারণা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে তারা বাংলাদেশকে বলতে চাইছে যে ঢাকার সঙ্গে রয়েছে ওয়াশিংটন। কারণ, এটি আউট অব দি বক্স ডিপ্লোমেসি। মার্কিন ইঙ্গিত দুই দেশের সম্পর্কে নতুন গতিধারা আনতে পারে।

ওয়াশিংটনে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন এমন একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কূটনীতিক বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে মার্কিন সরকার সমর্থন করেনি। আজকে ‘জয় বাংলা’ বলে হয়তো ওই সময় তারা ভুল করেছে – সেই ইঙ্গিত দিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে ক্ষমতায় ছিল রিপাবলিকানরা। কিন্তু ডেমোক্র্যাট এবং সাধারণ মার্কিন জনগণ বাংলাদেশের পক্ষে ছিলো। জো বাইডেন একজন ডেমোক্র্যাট এবং ১৯৭১ সালে তিনি একজন তরুণ ছিলেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বোঝাতে চাইছে যে মার্কিনিরা বাংলাদেশের সঙ্গে আছে। অন্য কোনো শক্তির কথায় প্ররোচিত না হয়ে মার্কিনিদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার বার্তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

জো বাইডেন চিঠির শুরুতে বলেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশিরা মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছিল। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া এবং সারা বিশ্বে শান্তিরক্ষার জন্য বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে শান্তিরক্ষী পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন বাইডেন।

স্বাআলো/এসএ