অফিস কক্ষে নারী কেলেঙ্কারি, চাকরি গেলো সহকারী পুলিশ সুপারের

অফিসের একটি কক্ষে মেয়েদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ এবং ঘুষ নেয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রকিব খানকে চাকরি থেকে অপসারণ করেছে সরকার।

এই পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করে সোমবার (২৭ মার্চ) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহের ত্রিশাল সার্কেলে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অফিস কাম বাসার একটি কক্ষে দীর্ঘদিন যাবৎ মেয়েদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও রাতে অবস্থান করা এবং ফুলবাড়ীয়া থানায় ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর বিশেষ ক্ষমতা আইনে হওয়া এক মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া ও বেদখল হওয়া দোকান ঘর উদ্ধারের জন্য গোলাম মোস্তফা নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ নেন রকিব।

এসব অভিযোগে রকিব খানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়। পরে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। এরপর তাকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।

নোটিশের জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে রকিব খানকে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পরে এ বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের মতামত চাইলে তারা একমত পোষণ করে। রাষ্ট্রপতিও এ বিষয়ে সম্মতি দেয়ায় তাকে চাকরি থেকে অপসারণের গুরুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

চাকরি থেকে অপসারণ করায় রকিব খানের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি কোনো বকেয়া পাবেন না বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

স্বাআলো/এসএ