সরকারি স্কুলের জমি দখলে মাদরাসাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার

ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের জন্য একশ্রেণির মানুষ মসজিদ মাদরাসা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। তাদের স্বার্থ বিরোধী কাজে কেউ প্রতিবাদ করলে তারা ইহকাল পরকালের কথা বলে প্রতিবাদকারীদের পিছিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করে। এমন একটি ঘটনার অবতারণা হয়েছে যশোরের মণিরামপুরে। ওই উপজেলার একটি সরকারি বিদ্যালয়ের জমি দখলে নেয়ার কৌশল হিসেবে মাদরাসার সাইন বোর্ড ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হলো সরকারি সম্পত্তি বেদখল হলেও সরকারি কর্মকর্তারা চুপচাপ গায় পানি দিয়ে বসে আছে। তার আজো কোন পদক্ষেপ নেয়নি। দখলীয় জায়গাটি স্থায়ী করতে প্রবেশ পথে একটি মাদরাসার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।

বাঁধাঘাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা এটি। ১৯৩৭ সালে ৯১ শতক জমির ওপর এই বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয় মাঠে সংশ্লিষ্ট দাফতরিক ইনস্টিটিউট অফিসও রয়েছে। গত বছর ২২ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের উত্তর পাশে আট ফুট এবং পূর্ব পাশে পাঁচ ফুট ভেঙে ভেতর দিয়ে একটি রাস্তা তৈরি করে এক লোক। ওই সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আকতার বানু বাঁধা প্রদান করেন। একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে তিনি লিখিতভাবে অবহিত করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সরকারি কোন পক্ষ এগোয়নি। এতে দখলকারী আষ্কারা পেয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রাচীর ভেঙে রাস্তা নির্মাণের প্রবেশপথটি স্থায়ী করতে সম্প্রতি দু’পাশে পিলার বসিয়ে মারকাজুত তাহফিজ মডেল বালিকা মাদরাসা নামে সাইন বোর্ড টাঙানো হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি দখলের ঘটনার পর ইতোমধ্যে বছরাধিক সময় পার হয়ে গেছে, কিন্তু সরকারি কর্তৃপক্ষের নট নড়নচড়ন অবস্থা। এদিকে প্রধান শিক্ষক হতাশ হয়ে হাল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এভাবে যদি সরকারি সম্পত্তি বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ঠেকাবে কে?

.

Author
সম্পাদকীয় ডেস্ক