দেরিতে স্কুলে আসায় প্রধান শিক্ষকসহ ৫ শিক্ষককে শোকজ

দেরিতে আসায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কুমুল্লি নামদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানসহ পাঁচ শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে স্কুল পরিদর্শনে এসে ওই পাঁচ শিক্ষককে পাননি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। পরে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুধবার সকাল ৯টা ১২ মিনিটে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকস্মিক পরিদর্শনে আসেন কুমুল্লি নামদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলের সময় সকাল ৯টা থেকে হলেও সেসময় কেউ উপস্থিত ছিলেন না। শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেখে বিদ্যালয়ের দফতরী আব্দুর রাজ্জাক খান শিক্ষকদের ফোন করে তাড়াতাড়ি আসতে বলেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনজুরুল মোর্শেদ আসেন ৯ টা ২০ মিনিটে। সহকারী শিক্ষক শায়লা আক্তার ৯টা ২৬ মিনিটে, মাহফুজা খান ৯টা ৩০ মিনিটে, সুমাইয়া আক্তার ৯টা ৩৮ মিনিটে এবং সাহিদা আক্তার ৯টা ৫৬ মিনিটে স্কুলে এসে পৌঁছান। হাজিরা খাতায় প্রায় দুইশ শিক্ষার্থীর নাম থাকলেও সরেজমিনে ক্লাসে দেখা যায় ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থীরা।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আসার খবর পেয়ে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা স্কুলে ছুটে আসেন। তারা ডিপিওর কাছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। অভিভাবকরা জানান, শিক্ষকরা দায়িত্বে অবহেলা করেন। তারা বিদ্যালয়ের সময় মতো আসেন না। ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে ভালোভাবে পড়ান না, নিজেদের বাচ্চাকে নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন। তারা ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি আন্তরিক না। এছাড়াও বড় রাস্তার পাশে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি না থাকায় অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে দুর্ঘটনার শঙ্কায় থাকেন বলেও জানান।

এসময় বিদ্যালয়ের সব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। এরপরই তিনি উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদকে টেলিফোন করে এই বিদ্যালয়ের সম্পর্কে জানতে চান।

এসময় প্রধান শিক্ষক মনজুরুল মোর্শেদ সব অভিযোগ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করার সুযোগ চান। কিন্তু এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা শিক্ষকদের পরিবর্তন চান।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধানসহ পাঁচ শিক্ষককে শোকজ নোটিশ জারি করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার মা সমাবেশ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মা সমাবেশে কর্মকর্তারাসহ নিজে উপস্থিত থাকবো।

স্বাআলো/এসএ