দেশে এখন আর কেউ না খেয়ে থাকে না, বললেন কাদের

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন দেশে এখন আর কেউ না খেয়ে দিন কাটায় না।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। এক সময়ের ক্ষুধা-দারিদ্র্য মঙ্গা ও দুর্ভিক্ষপীড়িত বাংলাদেশ আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় এক বিশেষ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। সফল প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে অর্জিত সক্ষমতার কারণেই দেশে কেউ আর না খেয়ে দিনাতিপাত করে না। অথচ বিএনপির সময় দেশের অবস্থা কী ছিলো? মির্জা ফখরুল কী ভুলে গেছেন? তাদের শাসনামলে উত্তরবঙ্গে মঙ্গাপীড়িত মানুষ না খেতে পেয়ে কীভাবে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছে!’

কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যার বহুমাত্রিক পদক্ষেপের ফলে দুর্বিষহ ক্ষুধার সেই অভিশপ্ত অন্ধকার থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। মির্জা ফখরুলরা তাদের সময়ের দুঃসহ ইতিহাস আড়াল করার জন্যই সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি কখনো এদেশের স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না। যারা স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও দেশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, প্রকৃতপক্ষে তাদের মানসিকতা এখনো পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি! যখনই তারা ক্ষমতায় এসেছে জনগণ ও দেশের উন্নয়নের জন্য তারা কোনো কাজ করেনি।’

কাদের বলেন, একটি পত্রিকার সুরে সুর মিলিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামও Child Exploitation-এর মতো ঘৃণ্য কাজকে নির্লজ্জ সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যা আওয়ামী লীগের প্রতি অন্ধবিদ্বেষ ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।’

দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ কথা আজ প্রমাণিত যে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশে মানুষের ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বিনামূল্যে গৃহ প্রদান করে বিশ্বসভায় মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের জনগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে।’

স্বাআলো/এসএস