ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চৌকি বসিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে বঙ্গবাজারের দুর্ঘটনাস্থল প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেখানে বালি ফেলে ইট বিছানো হচ্ছে।
আজ বুধবার (১২ এপ্রিল) চৌকি বিছিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র আবু নাছের বলেন, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদের তত্ত্বাবধানে করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ডস্থল ব্যবসায়ীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবাজারের ১ দশমিক ৭৯ একর জায়গাজুড়ে বালি ও ইট বিছানো হবে। ইতোমধ্যে সেখানে ৪০ গাড়ি বালি ফেলা এবং প্রায় ৯০ হাজার ইট বিছানো হয়েছে। পুরো এলাকায় প্রায় ২.৫ লাখ ইট বিছানো হবে এবং প্রায় ১৫০ গাড়ি বালি ফেলা হবে। আজকের মধ্যে পুরো এলাকায় বালি ফেলা ও ইট বিছানো শেষ করতে করপোরেশনের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
এ ছাড়া সোমবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান আছে। করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা হায়দর আলীর নেতৃত্ব এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সেখান থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টায় চৌকি বিছিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন মেয়র।
বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হুদা বলেন, এখানে আগুনের ঘটনায় ২৯৬১ জন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো দোকান অক্ষত ছিল না। নিচতলা, দ্বিতীয়তলা, তৃতীয়তলার কিছুই অবশিষ্ট নেই।
আজ বুধবার থেকেই ঈদের বেচাকেনা ধরতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেজন্য আমরা অস্থায়ীভাবে চৌকি পদ্ধতিতে দোকান পরিচালনা করবো। আমরা ব্যবসায়ীদের বেশি গুরুত্ব দেবো। কারণ আমরা মালিক নয়, ব্যবসায়ীদের গুরুত্ব দিতে চাই। এখানে যারা পণ্য বিক্রি করছিলেন তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ঋণ করে এখানে লগ্নি করেছিলেন। আগুনে সব হারিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত দুই কোটির বেশি টাকা অনুদান ও সাহায্য সহযোগিতা হিসেবে এসেছে উল্লেখ করে নাজমুল হুদা বলেন, দোকান মালিক বা পজিশন মালিক অথবা বরাদ্দ করা মালিক যেই হোক না কেন, ঈদের আগে আমরা ব্যবসায়ীদেরই গুরুত্ব দিতে চাই। পুনর্বাসন ও ক্ষতিগ্রস্তদের অনুদানের বিষয়টি পরে সমন্বয় করা হবে।
স্বাআলো/এসএস