
কুষ্টিয়ায় মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হাফসা খাতুন নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিরপুরে বারুইপাড়া ইউনিয়নের চারমাইল তাতীবন্ধ এলাকার নিজ কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন ওই তরুণী।
নিহত হাফসা খাতুন (১৯) উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের চারমাইল তাতীবন্ধ এলাকার ইদ্রিস মণ্ডলের মেয়ে।
নিহতের মা সিমা খাতুন বলেন, আমার মেয়েটি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন ৫ পেয়েছে। এর আগেও এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন ৫ পেয়েছে। ছোটবেলা থেকেই মেয়ের স্বপ্ন ছিলো ডাক্তার হবে। এবার মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলো। পরে অকৃতকার্য হওয়াতে কয়েকদিন ধরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। চান্স না পাওয়ার পর থেকে মেয়ে মানসিক অস্থিরতায় ছিলো। এ জন্যই তার রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনা বুঝতে পারলে আমি মেয়েকে ছাড়া থাকতাম না।
এ বিষয়ে বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, নিহত ওই শিক্ষার্থী ও তার দুই বান্ধবী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলো। তার দুই বান্ধবী চান্স পান। মেডিকেলে চান্স না হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে হাফসা খাতুন। এ কারণেই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
এ বিষয়ে মিরপুর থানার (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, মেয়েটির মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাআলো/এস
.
জেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া
