ফসল রক্ষার স্বার্থে যা প্রয়োজন তাই করতে হবে

এলাকার সামাজিক পরিস্থিতি শান্ত রাখতে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যেখানকার প্রশাসন যত আন্তরিক সেখানকার সামাজিক পরিস্থিতি তত শান্ত। এর হেরফের হলে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে। যশোর সদর উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী বুকভরা বাঁওড় নিয়ে সেরকমই একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী মানববন্ধন করে অভিযোগ করেছে, এক ব্যক্তি বাঁওড় এলাকায় বেড়িবাঁধ দেয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ফসলহানী ঘটছে। ১৪ মে এই মানববন্ধন করেছে বাঁওড় তীরবর্তী গ্রামসমূহের সাধারণ মানুষ। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে মানববন্ধনটি হয়। মানববন্ধনে ফসল বিধ্বংসী ওই বেড়িবাঁধ অপসারণের দাবি করা হয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেয়া হয়।

আমরা মনে করি, এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত ও ফসল রক্ষার ব্যবস্থা হওয়া প্রয়োজন। সামাজিক স্থিতিশীলতা। সমস্যা নিরসনের দায়িত্ব প্রশাসনের। এ নিয়ে প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় এলাকার শান্তি-শৃংখলা বিঘ্নিত হতে পারে। কোনো অবস্থাতেই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেয়া যাবে না। সামাজিক অশান্তি সৃষ্টি হলে উন্নয়ন বিঘ্নিত হয়। যার অশুভ প্রতিক্রিয়ার প্রভাব পড়ে রাষ্ট্রের ওপর। প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভাবতে পারেন তার আজ এখানে আছেন, দুদিন পরে চলে যাবেন। এরকম সমোভাব যেন কেউ পোষণ না করেন। মানুষের কল্যাণে তাদের কর্মে নিয়োগ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের দায়বদ্ধতা আছে।

বুকভরা বাঁওড়ের পাশে চান্দুটিয়া, ফরিদপুর ও মঠবাড়ী গ্রাম অবস্থিত। প্রায় ২০ হাজার মানুষ ওই তিন গ্রামে বসবাস করে। তাদের অধিকংশই কৃষক। সবার অগোচরে নিজ নামে খাস জমি রেকর্ড করে নিয়ে ওই জমিতে বেড়িবাঁধ দিয়েছেন এলাকার একজন। এতে কৃষকের ফসলের চরম ক্ষতি হয়েছে। তিন গ্রামবাসী চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। কৃষক বাঁচানোর জন্য সরকারি জমি উদ্ধার করে বেড়িবাঁধ অপসারণ করা অত্যন্ত জরুরী।

.

Author
সম্পাদকীয় ডেস্ক