
বঙ্গোপসাগরে সম্প্রতি সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার বিদায়ের পর স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে আবহাওয়া। মোখার ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ থেকে সব মেঘমালা ধাবিত হয়েছিলো বঙ্গোপসাগরে। অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে প্রকৃতি-আবহাওয়া। সরাসরি সূর্য কিরণের কারণে তাপমাত্রা বেড়েছিলো। সেই সময় বাতাসের গতিপথও কিছুটা বদলে যায়, ফলে বৃষ্টির পরিমাণ হ্রাস পায়। তবে ঘূর্ণিঝড়ের পরে বঙ্গোপসাগর হতে দেশের আকাশে ভেসে আসা সজল মেঘমালার আধিক্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসছে বৃষ্টি বলয়। এখন বাড়ছে বৃষ্টি, কালবৈশাখী, শিলাবৃষ্টি ও প্রবল বজ্রপাত প্রবণতা।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সপ্তাহ জুড়ে হতে পারে বৃষ্টিপাত। দেশের ৪০টি অঞ্চলে কমবেশি বৃষ্টিপাত-বজ্রপাত, ঝড় হয়েছে। আগামী সাত দিন সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে বজ্র ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ ছিলো মেঘলা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চারদিক অন্ধকার হয়ে আসে। ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ। শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। এর সঙ্গী হয়ে আসে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, রাজধানীতে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টি চলতি মে মাসের মধ্যে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, সপ্তাহ জুড়েই সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে ১৮ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত। বৃষ্টি চলাকালীন সময়ে বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে দেশের কিছু এলাকায় তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে ও কিছু স্থানে ছোটখাটো টর্নেডো হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, বর্ষার আগের এই সময় সাধারণত বৃষ্টিপাত তুলনামূলক বেশি হয়। দিনের তাপমাত্রা বেশি থাকায় কালবৈশাখী বাড়ছে। আগামী যে কয়েক দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, এই সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা সহনশীল অবস্থায় থাকবে। বৃষ্টির প্রবণতা কমে এলে তাপমাত্রা আবারো বাড়বে। কারণ এপ্রিল-মে আমাদের উষ্ণতম মাস। এদিন ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, নওগাঁ, মৌলভীবাজার, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
স্বাআলো/এস
.
ঢাকা অফিস
