
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় সরকারি সড়কের নারকেল গাছ নিলাম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা অপরপক্ষকে প্রকাশ্য জনসম্মুখে বেধড়ক মারপিট করেছে।
এ মারপিটে শিশুসহ পিতা-পুত্র আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, উপজেলার রাঢিপাড়া চরকাঠি গ্রামের নুর মোহাম্মাদ শেখ (৬৫), তার ছেলে আলতাপ শেখ (৪১) ও আলতাপ শেখের ছেলে সজিব শেখ (১৫)। আহতদের বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২০ মে) সকালে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলতাপ শেখ বলেন, রাড়ীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমরা চরকাঠি থেকে পদ্মনগর পর্যন্ত নারকেল গাছ ইজারা নিয়েছি। ইজারা নেয়ার পর দুইবার নারকেল পেড়েছি। সম্প্রতি পূর্বে যাদের ইজারা নেয়া ছিলো তারা আমাদের নারকেল পাড়ায় বাঁধা সৃষ্টি করে। বৃহস্পতিবার সকালে চরকাঠি মোড়ের জনৈক চান্দুর দোকানে এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইতরুপসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নারকেল গাছের বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশের কথা ছিলো। এই জন্য সকালে আমরা চরকাঠির ওই দোকানের সামনে যাই। এ সময় প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলাম রাঙ্গার নেতৃত্বে তার ছেলে বাবু শেখ, একই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে মোহসীন শেখ, সালাম শেখের চেলে আনিস শেখ, সাবু শেখসহ ৭-৮ জন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার মাথা কেটে যায় এবং আমার বাবার হাত কেটে গেছে। আমার শিশু ছেলেকেও মেরেছে তারা।
আহত নুর মোহাম্মাদ শেখ বলেন, রাঙ্গা, মোহসিন ও তার লোকজন শুধু আমাদের নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় এলাকার অনেককে মারধর করেছে। এলাকায় নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত রাঙ্গা ও তার লোকজন। আমরা চিকিৎসা শেষে এই হামলার ঘটনায় কুচয়া থানায় মামলা করবো।
এদিকে নুর মোহাম্মাদ শেখ ও আলতাফ শেখের অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল ইসলাম রাঙ্গার ছেলে বাবু শেখ বলেন, নুর মোহাম্মাদ শেখ ও তার লোকজন আমার বাবার ওপর হামলা করেছে। বাবা এখন বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন।
রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা আক্তার বলেন, যারা নারকেল গাছ ইজারা নিয়েছেন তাদেরকে মারধরের একটি খবর শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ওই সময়ই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। কোনো পক্ষ শনিবার সকাল পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্বাআলো/এসএ
.

আজাদুল হক, বাগেরহাট
