অপরাধে লিপ্তদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে র‌্যাব ও পুলিশ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যারা সরকারের আহবানে সাড়া না দিয়ে অপরাধ জগৎ থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না। অপরাধে লিপ্ত বিপথগামীদের বিরুদ্ধে র‌্যাব ও পুলিশ কঠোর অবস্থানে যাবে। কাজেই এখনও অপরাধীদের ভালো হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

রবিবার (২১ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ সদর দফতরে ৩১৫ চরমপন্থির আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অস্ত্র জমা দিয়ে মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, রাজবাড়ী ও টাঙ্গাইলের পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল), লাল পতাকা ও সর্বহারাসহ বেশ কয়েকটি চরমপন্থী দলের ৩১৫ সদস্য আত্মসমর্পণ করেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মানবতা ও উদারতার কারণে আজ অপরাধ জগতের চরমপন্থী সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ পেয়েছে। র‌্যাবের পৃষ্ঠপোষকতায় আত্মসমর্পণকারীরা আলোর পথ দেখতে শুরু করেছে। সরকার সব আত্মসমর্পণকারীকে পুনর্বাসন করবে। ইতোপূর্বে সুন্দরবনের ৪৫০ জন জলদস্যুদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়েছে।

তিনি বলেন, আশির দশকে চলনবিল অঞ্চলে সর্বহারা পার্টি প্রথম ঘাঁটি গাড়ে। তারপর থেকে এই অঞ্চলে চরমপন্থি ও সর্বহারা দল গড়ে ওঠে। ১৯৯৬ সালে প্রথম তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম প্রথম উদ্যোগ নেন। এরপর থেকে এই জনপদে অপরাধ জগতের লোকজন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে র‌্যাবের মাধ্যমে আত্মসমর্পণকারী সর্বহারা ও জলদস্যুদের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে অনুদান দিয়ে তাদের পরিবারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তারা এখন স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করছেন।

র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র‌্যাব-১২ অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মারুফ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাআলো/এসএ