
খাবার দাবার সতেজ রাখতে বাড়িতে রাখেন ফ্রিজ। সব খাবারই যে ফ্রিজে রাখলেই ভালো থাকে, তা কিন্তু নয়। বেশ কিছু খাবার আছে যা রেফ্রিজারেটরে রাখলেই নষ্ট হয়ে যায়। শীতল তাপমাত্রায় ভালো থাকে না অনেক খাবারই। চলুন জেনে নিই কোন সবজিগুলো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়-
টমেটো
পুষ্টিবিদদের মতে, টমেটো ফ্রিজে না রাখাই ভাল। এই সবজিটি সবচেয়ে সুরক্ষিত থাকে ঘরের তাপমাত্রায়। ফ্রিজে রাখলে টমেটোর স্বাদ, গঠন ও গন্ধে একটা পরিবর্তন চলে আসে। পাকা টমেটোতে ইথিলিন থাকে। যার ফলে সবজি দ্রুত রান্না হয়। তাই ফ্রিজে টমেটো রাখবেন না।
রসুন
রসুন সংরক্ষণ করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। তবে ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না। কারণ, ফ্রিজে রাখলে রসুন দ্রুত পেকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এরচেয়ে কাগজে মুড়িয়ে রসুন ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দিন। বেশি দিন ভাল থাকবে।
আলু
অনেকেই দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করতে আলু ফ্রিজে রাখেন। পুষ্টিবিদদের মতে, আলু ফ্রিজে রাখলে এতে থাকা স্টার্চ শর্করায় পরিণত হয়। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। ফ্রিজে না রাখলেও আলু দীর্ঘ দিন ভাল থাকবে।
পেঁয়াজ
ন্যাশনাল অনিয়ন অ্যাসোসিয়েশন (এনওএ) অনুসারে, পেঁয়াজ একটি শীতল, শুষ্ক, অন্ধকার এবং ভাল বায়ুচলাচল ঘরে সংরক্ষণ করা উচিত।
শাক
কফির মতোই শাক ফ্রিজে রাখলে এর গন্ধ এবং স্বাদ চলে যায়। আবার টসটসা ভাবও যায় কমে। তাই শাক ফ্রিজের বাইরে রাখাই ভালো।
মধু
মধু ফ্রিজে রাখলে মধুর নীচে চিনির কেলাসন পড়ে যায়। তাই মধু ফ্রিজের বাইরে একটি কাচের পাত্রে রাখাই ভালো।
কফি
কফি পাউডার ফ্রিজে রাখলে কফির গন্ধটাই উবে যায়। ফ্রিজের ভেতরে তাপমাত্রা খুব কম থাকে, ফলে কফি পাউডার শুকিয়ে যায় এবং গন্ধ চলে যায়। তাই কফি পাউডার রাখতে হবে ফ্রিজের বাইরে। তার জন্য দরকার উপযুক্ত এয়ার টাইট পাত্র। নাহলে হাওয়া ঢুকে পাউডার দলা পাকিয়ে যায়।
স্বাআলো/এসএস
.
