
খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ এখন ৮০ টাকা। পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। বাড়তে বাড়তে এ পর্যায়ে উঠেছে। রোজার ঈদের আগেও এর দাম কেজিপ্রতি ছিলো ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। কোনো কোনো বাজারে এর চেয়ে কম দরেও পেঁয়াজ মিলেছে। ঈদের পর থেকেই এর দর ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। গত প্রায় এক মাসে এর দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতারা দিশেহারা।
দেশে পেঁয়াজের যথেষ্ট উৎপাদন হয়েছে। তারপরও এর দাম কেনো হু হু করে বাড়ছে? বলা হচ্ছে, পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ করার কারণে এর দাম বাড়ছে। কৃষক যেনো লাভের মুখ দেখে সে জন্য আমদানি বন্ধ করা হয়েছিলো।
এখন পেঁয়াজের দাম যে বাড়ছে তাতে কৃষকের পকেটে বাড়তি টাকা যাচ্ছে কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। প্রান্তিক অনেক কৃষকই আরও আগেই পেঁয়াজ বিক্রি করে দিয়েছেন। তারা বাড়তি দাম পাননি, আর পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, কৃষক বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করেননি বা করতে পারেননি তাহলে এর দাম বাড়ছে কেনো।
নাগরিকরা যে হঠাৎ করে পেঁয়াজ খাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছেন তাও না। কোরবানির ঈদ আসতে ঢের দেরি। উৎপাদন ভালো হয়েছে, চাহিদা বাড়েনি, সরবরাহ সংকট নেই। তাহলে এর দাম বাড়ছে কেনো? উৎপাদন-বিপণনের কোনো পর্যায়ে দাম বাড়ছে, কারা এর দাম বাড়াচ্ছে, কারা লাভবান হচ্ছে-এসব প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার।
কৃষি মন্ত্রণালয় পেঁয়াজের দাম বাড়তে দেখে এর আমদানির অনুমতি দেয়ার কথা বলেছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, বাজার পর্যপবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদের ঘোষণা বা পর্যবেক্ষণের কী প্রভাব পেঁয়াজের বাজারে পড়েছে সেটা মানুষ জানতে চায়।
শুধু পেঁয়াজ নয় আদা-রসুনের মতো পণ্যের দামও চড়া। দ্রব্যমূল্যে মানুষের স্বস্তি আর মিলছে না। কোনো একটার দাম একটু স্থিতিশীল হলে অন্য পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। দাম বাড়ার ধরনটা অস্বাভাবিক। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ হতে এক মাস সময়ও লাগে না। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণ কী, এ থেকে নাগরিকদের নিস্তার মিলবে কীভাবে-এমন অনেক প্রশ্নই নাগরিক মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। দায়িত্বশীলরা এসব প্রশ্নের সদুত্তর দেবেন সেটা আমাদের আশা।
স্বাআলো/এস
.
