গরমে তালের শাঁসের জুড়ি নেই

জৈষ্ঠ্য মাসকে বলা হয় মধু মাস। এ মাসে বাহারী সব রঙের ফল মানুষকে এনে মধু মাসের স্বাদ।

আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, জামরুল, গাব, আনারস, আঁশফল ও তালের শাঁস এ ফলগুলোই বেশি পাওয়া যায় এ মৌসুমে। হরেক রকম ফল পাওয়া যায় বলে এ মাসে সাধারণ মানুষ তৃপ্তি করে ফল খায় । এ মৌসুমে বিশেষ একটি ফল মানুষের কাছে আকর্ষণ করে সেটি হলো তালের শাঁস। এখন গ্রীষ্ম মৌসুমে প্রতিটি হাটে-বাজারে তালের শাঁসের কদর বাড়ছে। ছোট-বড় সব বয়সি মানুষের পছন্দ এ তালের শাঁস।

সরজমিনে মাগুরা শহর ও হাটে বাজারে ঘুরে দেখা দেখা গেছে, শহর কিংবা হাটে রাস্তার পাশে তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে। তালের শাঁস খেতে খুবই মজা। তাই অনেকে রাস্তার পাশে বসে খাচ্ছেন, তালের শাঁস। কেউবা আবার শিশুদের জন্য তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পাশে বসে তালের শাঁস বিক্রেতা নাসির হোসেন জানান, বর্তমানে তালের শাসেঁর অনেক চাহিদা বেড়েছে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে এ তাল সংগ্রহ করে তারপর শহরে এনে আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন ব্যাপারীরা। আর আমরা তা খুচরা প্রতি পিচ তাল ১০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এতে লাভ খুব ভালো। প্রতিদিন আমি ২শ’ তাল বিক্রি করছি। সব বয়সি মানুষেরা এ তালের শাঁস খাচ্ছে। কেউবা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে ।

ঋষি পাড়ার তালের শাঁস বিক্রেতা সুজন দাস জানান, আমি সারা বছরই ভিন্নি পেশার সাথে জড়িত। গ্রীষ্ম মৌসুমে বিভিন্ন ফল বিক্রি করি । পাশাপাশি প্রতি বছরই তালের শাসঁ বিক্রি করছি।

গ্রামের বর্তমানে তাল গাছ কমে যাওয়ায় তাল সংগ্রহ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। আমরা পাইকারি হিসেবে তাল কিনছি। আগে একটি তাল ৫ টাকা করে বিক্রি করতাম কিন্তু বর্তমানে খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতি পিচ তাল ১০ টাকায় বিক্রি করছি। সব মানুষেই তালের শাঁস পছন্দ। বিশেষ করে শিশুরা এ তালের শাঁস বেশি পঠন্দ করে। একটি তালে ৩টি চোখ থাকে। সেই চোখের মধ্যে থাকে রস । আর এ মিষ্টি রস খেতে শিশুরা পছন্দ করে। ছোট ছোট তালের চোখে রস বেশি থাকে। একটু বড় হলে এ শাঁস শক্ত হয়ে যায় । খেতে ভালো লাগে না । সাধারণ ছোট ও মাঝারি সাইজের তাল ভালো চলে। সবাই ছোট সাইজের তাল বেশি চাই। তাই ছোট তালের চাহিদা বেশি ।

তাল কিনতে আসা গৃহিণী শান্তনা বিশ্বাস বলেন, আমার ছেলে-মেয়েরা তালের শাঁস খুবই পছন্দ করে। আমিও এ তালের শাঁস খায়। তাই পরিবারের সবাই জন্য তাল শাঁস কিনছি। প্রতি বছর এ মৌসুমে এলেই আমি তালের শাঁস খায়। ক্রেতা বাহার শিকদার বলেন, আমার পরিবারের সবাই তালের শাসঁ খুব পছন্দ করে। আমি সময় পেলেই তালের শাঁস কিনি। সুমিষ্ট এ ফলটি অল্প সময়ের জন্য পাওয়া যায়। তাই বাজারে দেখলেই আমি শিশুদের জন্য তা সংগ্রহ করার চেষ্টা করি।

স্বাআলো/এসএ

.

Author
লিটন ঘোষ জয়, মাগুরা
জেলা প্রতিনিধি