
রংপুর নগরীর ধাপ এলাকার ভিশন স্পেশালাইজড হাসপাতালে হাতের অপারেশন পর হায়দার আলীর (২৭) নামের এক শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি লালমনিরহাটের হাতিবান্দা এলাকার ফজলুল হকের ছেলে। তিনি শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করার পাশাপাশি বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন।
পরিবার ও স্বজনরা দাবি করছেন, ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে নগরীর ভিশন স্পেশালাইজড হাসপাতালে ঘটেছে।
তবে সিভিল সার্জন বলেছেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার ফজলুল হকের ছেলে হায়দার আলী (২৭) ২১ মে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাম হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাকে রংপুর শহরের ধাপ এলাকার ভিশন স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তার হাতে অপারেশন করার পরে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে রক্ত দেয়ার পর হায়দার আলী মারা যান। এ ঘটনায় স্বজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আটকে রাখে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল ঘিরে রাখলে হাসপাতালের পরিচালক কামরুজ্জামান বাইরে থেকে নিজের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন। পরে সেখানে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ঘটনাটি কী হয়েছে আমার জানা নেই।
হায়দার আলীর বাবা ফজলুল হক বলেন, এই হাসপাতালে ৪০ হাজার টাকায় ছেলের অপারেশনের চুক্তি হয়। অপারেশনের পর আমার ছেলের অবস্থার অবনতি হয় এবং মারা যায়। আমার ছেলের বাম হাতের পেশির কাছে হাড্ডি ভেঙে যায়। তারা অপারেশনের নামে ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি তাদের বিচার চাই।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ধাপ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান।
তিনি জানান, নিহতের পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
স্বাআলো/এস
.

হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর
