
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের মূখ্য উদ্দেশ্যে হলো গ্রাম হবে শহর। গ্রামে বসে শহরের সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না। সেইজন্য সবাইকে প্রযুক্তিমুখী হতে হবে। সব শ্রেণির মানুষকে এর আওতায় আনতে হবে। ২২ মে শহরের পিটিআই অডিটোরিয়ামে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট জেলা ভিশন-২০৪১ ও ভিশন সম্পর্কিত আইডিয়া প্রস্তুতি বিষয়ক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
গ্রাম হবে শহর এ মহৎ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এতে শহরের মানুষের সাথে গ্রামের মানুষও জীবন যাপনের সব সুযোগ সুবিধা পাবে। উন্নয়নের প্রধান অনুসঙ্গ হলো যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও প্রযুক্তি। যোগাযোগ ক্ষেত্রে অভুতপূর্ব উন্নয়ন সাধর হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু বিদ্যুৎ ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশ এখনো সীমাহীন বৈষম্যের শিকার। জেলা প্রশাসক বলেছেন, সবাইকে প্রযুক্তিমুখী হতে হবে। সব শ্রেণির মানুষকে এর আওতায় আনতে হবে। কিন্তু বিষয় দুটিতে চরম অব্যবস্থা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় প্রতি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌছে গেছে। কিন্তু আকাশে মেঘ জমলেই আর বিদ্যুৎ থাকে না। ভারী বৃষ্টি হলে ও ঝড় হলে বিদ্যুৎ বিদায় নেয় দীর্ঘ সময়ের জন্য। এখন গ্রাম-গঞ্জে বিদ্যুৎ নির্ভর সব কাজ। কিন্তু সেই বিদ্যুৎ যদি না থাকে তাহলে অবস্থাটা কি হয় তা শহরবাসীদের বোঝানো যাবে না। জেলা প্রশাসক বলেছেন সবাইকে প্রযুক্তিমুখী হতে হবে। মানুষতো প্রযুক্তিমুখি হয়েছে।
কিন্তু প্রযুক্তি ছোয়া তারা পাচ্ছে না বললেই চলে। গত প্রায় সপ্তাহখানক হলো গ্রামের প্রযুক্তি নির্ভর মানুষ এই প্রযুক্তি সেবা থেকে দারুনভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে কি অবস্থা হচ্ছে তা কেউ বুঝতে চাচ্ছে না। অনেকে গ্রামে বসে অনেক প্রতিণ্ঠানে চাকরি করেন। কিন্তু প্রযুক্তির অভাবে কাজ দিতে না পারায় তাদেরকে কর্তৃপক্ষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বুঝতে না চাওয়ায় তাদের চাকরি হুমকির মুখে পড়েছে।
বাস্তবতা উপলব্ধি করে যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন উন্নয়ন হয়েছে তেমনি বিদ্যুৎ ও প্রযুক্তি সেবার দিকে নজর দিতে হবে। নতুবা কথার সাথে কাজের মিল না থাকায় গণঅন্তোষ সৃষ্টি হবে।
.
সম্পাদকীয় ডেস্ক
