
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী নাস্তিপুর গ্রামে ও দর্শনা পৌর এলাকায় বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে একজন নারীসহ ২০ পিস সোনার বার যার ওজন দুই কেজি ৩৪১ গ্রাম ও ৭৭ কেজি ৭০০ কেজি ওজনের ভারতে তৈরী অবৈধ রূপোর গয়না উদ্ধার করেছে।
বুধবার (২৪ মে) পৃথক দুটি অভিযানে আটক ও উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান পিএসসি এদিন রাতে মেইলে পাঠানো দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, সীমান্তবর্তী বারাদী গ্রাম হতে ভারতে সোনা পাচার করা হবে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারই নির্দেশনায় বারাদী বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আহসান কবিরসহ একদল বিজিবি সদস্য সীমান্ত পিলার ৭৯/৬-আর হতে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাস্তিপুর গ্রামের জোড়া কবরস্থান এলাকায় অবস্থঅন নেয়। এসময় এদিন বেলা ১টার দিকে একটি অটোরিকশা দর্শনা থেকে আসতে দেখে বিজিবি দলটি অটোরিক্সার চালককে থামায়। অটোরিক্সার যাত্রীদের মধ্যে একজন বোরকা পরা নারীকে সন্দেহ করা হলে তাকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সে জানায়, তার কাছে কোন চোরাচালানী পণ্য নেই। পরবতীতে বিজিবির মহিলা সদস্যরা ওই অটোরিকশার যাত্রী নাস্তিপুর গ্রামের মরহুম কাশেমের স্ত্রী শাহানারার (৪৮) দেহে তল্লাশী করে বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখা স্কচটেপ মোড়ানো দুইটি প্যাকেট উদ্ধার করে। ওই প্যাকেট জনসম্মুখে খোলা হলে সেখানে ২০টি অবৈধ সোনার বার যার ওজন দুই কেজি ৩৪১ গ্রাম ও একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এরপর শাহানারাকে আটক করে ওই অবৈধ সোনার বারগুলো জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে বিজিবি সদস্য হাবিলদার ওবাইদুর রহমান বাদী হয়ে দর্শনা থানায় চোরাকারবারী শাহানারার বিরুদ্ধে মামলা এবং জব্দ করা সোনাগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী কার্যালয়ে জমা করা হয়েছে।
ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান পিএসসি আরো জানান, গোপনে সংবাদ পাওয়া যায়, ভারত থেকে বেশ কিছু অবৈধ রূপোর গয়না পাচার করে এনে দর্শনা পৌর এলাকার মোবারকপাড়ার একটি বাড়িতে রাখা হয়েছে। সেই খবর অনুযায়ী তিনি নিজেই বিজিবি টহল দলের সদস্যদের নিয়ে সীমান্ত পিলার ৭৬ হতে আনুমানিক চার কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দর্শনা মোবারকপাড়া আবাসিক এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এদিন আনুমানিক বিকাল ৫টায় ওই এলাকার মোস্তফা আলীর বসতবাড়িতে অভিযান চালালে দর্শনা মোবারকপাড়ার মরহুম বাবু আলীর ছেলে চোরাকারবারী সোহাগ (৩০) রূপো ভর্তী চারটি প্লাস্টিকের বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। তার ফেলে যাওয়া বস্তা পরিত্যক্ত অবস্থায় এবং পার্শ্ববর্তী সোহাগের বসতবাড়ি হতে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ১২৬টি খালি প্যাকেট এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকরা চারটি প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর থেকে ৭৭ কেজি ৭০০ গ্রাম ভারতে তৈরী করা অবৈধ রূপোর গয়নার সন্ধান মেলে। এ ব্যাপারে সুবেদার জহির উদ্দিন বাবর বাদী হয়ে পলাতক চোরাকারবারী সোহাগের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা এবং জব্দকরা রূপোর গয়নাগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী কার্যালয়ে জমা করা হয়েছে।
স্বাআলো/এসএস
.

মফিজুর রহমান জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা
